বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

হাতিয়ায় ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

= সাঁথিয়ায় অটোচালক খুন = তিন জেলায় তিন মৃতু্য
স্বদেশ ডেস্ক
  ১১ জুন ২০২১, ০০:০০

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। পাবনার সাঁথিয়ায় অটোরিকশা চালককে পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। অন্যদিকে জেলা শহরে বিদু্যতের কাজ করতে গিয়ে বিদু্যৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতু্য হয়েছে এক লাইনম্যানের। মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন এক যুবক। এছাড়া জামালপুরে উদ্ধার করা হয়েছে এক গৃহবধূর মরদেহ। আমাদের আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের তথ্যের ভিত্তিতে ডেস্ক রিপোর্টে বিস্তারিত :

নোয়াখালী : নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত রবীন্দ্র চন্দ্র দাস (৪৫) চর ঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাবাজার এলাকার স্বতিষ চন্দ্র দাসের ছেলে। বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বাংলাবাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে খাসেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে দুর্বৃত্তরা তাকে সড়কের ওপর কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত রবীন্দ্র চন্দ্র দাস হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের শরীরচর্চা বিভাগের শিক্ষক ও যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আশরাফ উদ্দিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি এবং অবৈধ অস্ত্র রাখাসহ ২৮টি মতো মামলা রয়েছে।

পুলিশ জানায়, খাসেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে দুর্বৃত্তরা তার গতিরোধ করে। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে এবং হাতের কবজি কেটে সড়কের ওপর ফেলে রেখে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃতু্য হয় রবীন্দ্রের। এ ঘটনায় আমজাদ হোসেন নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

পাবনা ও সাঁথিয়া : পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রাম বহালবাড়িয়া মাঠে সেলিম হোসেন (২৫) নামের এক অটোরিকশা চালককে পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত সেলিম আতাইকুলা থানার মাধপুর গোছাইপাড়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।

সাঁথিয়া থানার ওসি আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, সেলিম হোসেন বুধবার রাতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে দুর্বৃত্তরা তার অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিয়ে তার পায়ের রগ কেটে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে যায় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকারীদের শনাক্ত ও ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে পাবনায় বিদু্যৎ লাইনে কাজ করতে গিয়ে বাচ্চু মিয়া (৪০) নামে বিদু্যৎ বিভাগের এক লাইনম্যানের মৃতু্য হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের পৌর এলাকার দিলালপুর ইউনিভার্সাল ফুড লিমিটেডের সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত বিদু্যৎকর্মী সদরের গাছপাড়ার মহলস্নার এসকেন্দার মোলস্নার ছেলে। নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপস্নাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেডের পাবনা ইউনিটে লাইনম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।

সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় নিহতের বাবা অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে নেসকো পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী মাজেদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে সহকারী প্রকৌশলী রুবেল হাওলাদার বলেন, ছেলেটি তাদের অফিসের বাইরের কোনো ঠিকাদারের সঙ্গে কাজ করে থাকতে পারে। এর বেশি বলতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।

সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ) : মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নাসির উদ্দিন (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় তার বড় ভাই এরশাদ (৩৭) গুরুতর আহত হন। বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ধলস্না ইউনিয়নের বাস্তা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাসির একই ইউনিয়নের পূর্ব বাস্তা গ্রামের ইছহাক মিয়ার ছেলে।

জানা গেছে, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পূর্ব বাস্তা গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে আরিফুল ইসলামকে মারধর করে কালা মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম (২০)। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বুধবার রাত ৮টার দিকে কামরুল, তার চাচাতো ভাই লাভলুসহ ১০-১২ জন লোক বাস্তা বাসস্ট্যান্ডে আরিফুল ও তার চাচাতো ভাই নাসিরসহ স্বজনদের ওপর হামলা করে। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে নাসির, তার বড় ভাই এরশাদ ও প্রতিপক্ষের লাভলু আহত হন। তাদের সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৯টার দিকে মারা যান নাসির।

জামালপুর : জামালপুর সদর উপজেলায় আখি বেগম (২১) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার স্বামীর বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আখি বেগম সদর উপজেলার পশ্চিম কুচনধার গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে।

আখির বাবা নুরুল হক দাবি করেন তার মেয়েকে প্রায়ই নির্যাতন করত স্বামী মিলন মিয়া। আখিকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

নরুন্দি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর টিপু সুলতান জানান, পারিবারিক কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন আভি। পরিবারের লোকজন তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে তার মৃতু্য হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে