শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নন্দীগ্রামের হাটুয়া বিদ্যালয়ের মাটির ঘর এখন মরণফাঁদ

আক্তার হোসেন, নন্দীগ্রাম (বগুড়া)
  ১৪ জুন ২০২১, ০০:০০

বগুড়ার নন্দীগ্রামের হাটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি মাটির ঘর এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ওই ঘরগুলো ভেঙে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

স্থানীয়রা জানায়, ১৯৬০ সালে গ্রামের কিছু শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। সরকারি হওয়ার পরে দুটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ওই দুই ভবনেই চলে পাঠদানসহ সব কার্যক্রম। এরপরও মাটির ঘরগুলো এখনো ভাঙা হয়নি। বিদ্যালয় চলাকালে অনেক শিক্ষার্থীই ওই ঘরের মধ্যে আসা-যাওয়া ও খেলাধুলা করে। আবার বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও গ্রামবাসী ঘরগুলোর মধ্যে আসা-যাওয়া করে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাটির ওই ঘরের বেশির ভাগ অংশ খসে পড়েছে। যেটুকু আছে তাতে গোবর শুকাচ্ছে গ্রামের কিছু লোক। জানালা-দরজা কিছুই নেই। টিনগুলোও নষ্ট। মাটির ঘরগুলোর সঙ্গেই রয়েছে দুটি পাকা ভবন।

হাটুয়া গ্রামের সুরুজ কুমার সরকার বলেন, তার ছেলে হাটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। মাটির ঘরগুলোর খুবই খারাপ অবস্থা। তাই যেকোনো সময় ছাত্রছাত্রীর উপর ভেঙে পড়তে পারে।

এ বিষয়ে হাটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাধান শিক্ষক লুৎফুন নেছা বলেন, এর আগে কমিটির সভায় ঝুঁকিপূর্ণ মাটির ঘরগুলো ভাঙার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেকেই বিপক্ষে থাকায় ভাঙা সম্ভব হয়নি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম জানান, হাটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ঘরগুলো অপসারণের জন্য শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে