গ্রীষ্মকালীন শিম চাষে সাফল্য

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

কোটচঁাদপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
ঝিনাইদহের কোটচঁাদপুর উপজেলার সবজি চাষিদের মুখে এখন সুখের হাসি। সাধারণত শীতকালে শিম চাষ করেন তারা। এবার নতুন ‘বারি-৪’ ও ‘ইপসা-১’ জাতের গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ করে ফলন পেয়েছেন ভালো। আগাম চাষে ভালো ফলন এবং দামও পেয়েছেন বলে জানালেন সবজি চাষিরা। উপজেলার লক্ষী কুÐু মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে প্রচুর শিমের মাচা। ছড়ায় ছড়ায় ঝুলছে শিম। অসময়ে শিম চাষের বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে সবজি চাষি অমেদুল ইসলাম বলেন, তাদের এখানে প্রচুর জমিতে এবার গ্রীষ্মকালীন শিমের চাষ হয়েছে। ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ-২ প্রকল্পের আওতায় গ্রীষ্মকালীন শিম চাষের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা এ নতুন জাতের শিম চাষ করেছেন। তাতে লাভবানও হয়েছেন। বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আরেক সবজিচাষি আব্দুর রহমান বলেন, অসময়ে শিম তাই পোকা মাকড়ের উপদ্রব কম। শীতকালীন শিম চাষের চেয়ে গ্রীষ্মকালীন শিমচাষে রোগ-বালাই অনেকাংশে কম। তাই ওষুধ ও সার খরচও কম। একই এলাকার সবজিচাষি মণ্টু মিয়া বলেন, শ্রাবণ মাসের প্রথম দিকে এই শিমের বীজ বপন করতে হয়। পরবতীের্ত চারা লাগানোর ২৫ থেকে ৩০ দিনের মাথায় গাছে ফুল আসা শুরু হয়। দেড় মাস বয়সের গাছ থেকে শিম তোলা শুরু হয়। ৩ থেকে ৪ দিন পর পর শিম তুলে তারা বিক্রি করেন। কোটচঁাদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শেখ সাজ্জাদ হোসেন জানান, ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ-১ (এনএটিপি-২) প্রকল্পের আওতায় এ উপজেলায় সিআইজি কৃষক সংগঠনের ১২০০ কৃষককে আথির্কভাবে লাভবান করার উদ্দেশ্যে উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদনের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ নিয়ে এসব চাষি (আগাম চাষ) গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ করেছেন। এ প্রকল্প হতে গ্রীষ্মকালীন শিমের প্রদশর্নী প্রদান করা হয়। তিনি আরও বলেন, তার নিদের্শনা অনুযায়ী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার নূর-এ-নবী এবং মাসুদ রানার তত্ত¡াবধানে ওই সব বøকের উপ-সহকারী কৃষি কমর্কতার্ কাজী এবাদুর রহমান শিমের প্রদশর্নী বাস্তবায়নে সবর্দা কৃষক সংগঠনকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছেন। ফলে সিআইজি কৃষক সংগঠনের সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাদের পাশাপাশি আশপাশ গ্রামের অনেক সবজি চাষি ব্যাপকভাবে গ্রীষ্মকালীন শিমের চাষ করেছেন এবং তারা আথির্কভাবেও লাভবান হচ্ছেন।