কুশিয়ারার গ্রাসে গৃহহীন বাড়ছে

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
নবীগঞ্জে কুশিয়ারা যেন এক মূতির্মান অভিশাপ। সবর্নাশা এই নদী কেড়ে নিচ্ছে ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি। প্রতি বছরই গৃহহীনের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু নদী ভাঙন থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষায় তেমন কোনো উদ্যোগই নেই কতৃর্পক্ষের। এবার ভাঙনের কবলে পড়েছে ওই এলাকার ঐতিহ্যবাহী একটি বাড়ি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একদিকে কুশিয়ারার করাল গ্রাস অপর দিকে ভাঙন। এ দুয়ে মিলে এলাকাবাসীকে কঠিন জীবন সংগ্রামের মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হলেই নতুন করে ভাঙনের সৃষ্টি হয় কুশিয়ারার পাড়ে। ফলে বিলীন হয়ে যায় নতুন নতুন বাড়ি ও স্থাপনা। গত কয়েকদিন ধরে ভাঙনের কবলে পড়েছে সাবেক সাবেক অথর্মন্ত্রী মরহুম শাহ এএমএস কিবরিয়ার ফুফুর বাড়ি। এ ব্যাপারে আবুল কালাম আজাদ ছোটন বলেন, দীঘলবাক একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম, ইউনিয়ন পরিষদের নামও এই গ্রামের নামে নামকরণ করা হয়েছিল, কিন্তু এই গ্রাম আজ বিলিন হওয়ার পথে। অচিরেই নদী ভাঙন রোধে কোন ব্যবস্থা না নিলে ঐতিহ্যবাহী দীঘলবাক গ্রাম তথা ইউনিয়ন এক সময় বিলিন হয়ে যাওয়ার আশংকায় আছেন। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার তৌহিদ-বিন-হাসান বলেন, কুশিয়ারা নদীর ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোডর্ ইতিমধ্যে একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে, বরাদ্দ এলেই কাজ শুরু হবে। জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের ভাঙনের তীব্রতা রোধ কল্পে বাস্তব সম্মত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে উল্লিখিত জনপদের বিভিন্ন পেশার লোকজন চাষাবাদযোগ্য জমি, বাসগৃহ, বনজসম্পদ হারানোর বেদনায় এলাকার বাতাসে দুঃখ ও হতাশার করুণ ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ইতিপূবের্ দীঘলবাক বাজার, হাই স্কুলসহ বিভিন্ন ধমীর্য় প্রতিষ্ঠান একাধিকবার নদীগভের্ বিলিন হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। নদী ভাঙনে অনেককেই বাড়ি-ঘর হারিয়ে অন্যত্র চলে যেতে হয়েছে। কেউ কেউ অন্যের বাড়িতে আশ্রিতা হিসেবে জীবন-যাপন করছেন। একদিকে নদী ভাঙন অন্যদিকে সামান্য বৃষ্টির কারণে কুশিয়ারা নদীর তীরবতীর্ মানুষকে অকাল বন্যার শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়। এটি যেন তাদের জীবনে আষ্ঠেপৃষ্টে বাধঁা। এলাকাবাসী করাল কুশিয়ারা নদীর ভাঙন থেকে মুক্তি চায়। তারা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষসহ সরকারকে এগিয়ে আসার আহŸান জানান।