মাটি ভেঙে ভরাট হচ্ছে ভৈরব নদীর পাড়

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুরের ভৈরব নদীর দুই পাড়ের মাটি শাসন ও বনায়ন না করায় পাড় ভেঙে আবারও ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদীটি। অথচ প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে নদীটি বঁাচাতে পুনঃখনন করা হয় । পরিবেশবিদদের দাবি, পাড়ের মাটি ভাঙা বন্ধ না হলে আবারও ভরাট হয়ে যাবে নদীটি। কিন্তু এখনো বঁাধানো হয়নি নদীর দুইপাড়। মেহেরপুরের বতর্মানে একমাত্র নদী ভৈরব। এক সময় এই নদীটি তার নাব্য হারিয়ে মরা খালে পরিণত হয়। মেহেরপুরবাসী দীঘির্দন ভৈরব নদীটি পুনঃখননের জন্য আন্দোলন ও মানববন্ধন করছে। ২০১০ সালে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসে প্রধানমন্ত্রী ভৈরব নদীটি পুনঃখননের আশ্বাস দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে নৌবাহিনীর অধীনে ডকইয়াডর্ অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়াকার্স লিঃ-এর তত্ত¡াবধায়নে ২৯ কি. মি. খনন কাজ শুরু হয়। নদীর দুই পাড় ৬২-৭০ মিটার চওড়া, গভীরতা ৪ মিটার, তলদেশ ৫০ মিটার। ২০১৬ সালের শেষ দিকে এই নদী খননের কাজ শেষ করে নৌবাহিনী। নদী খননের ফলে দেশীয় মাছ ও কৃষি জমিতে সেচ সুবিধা ভোগ করতে শুরু করে এলাকাবাসী। অনেকে এই নদী থেকে মাছ আহরণ করে সংসার চালাচ্ছেন। কিন্তু নদীর দুই পাড়ে মাটি শাসন ও বনায়ন না করায় আবারও নদীর পাড় ভেঙে নদীতে গড়িয়ে পড়ছে। এতে করে নদীটি ভরাট হওয়ার আশঙ্কা করছে জেলাবাসী। ভৈরব নদী বঁাচাও আন্দোলন কমিটির সভাপতি নিশান সাবের জানান, দীঘর্ দিন আন্দোলনের পর ভৈরব নদীটি পুনঃখনন হলেও এর সুফল তারা বেশি দিন পাবেন না। নদীর দুই পাড়ের মাটি শাসন ও বনায়ন করার কথা থাকলেও এখনো তা করা হয়নি। দ্রæত সময়ের মধ্য নদীর দুই পাড়ে বানায়ন ও মাটি শাসন দরকার। পরিবেশবিদ সহকারী অধ্যাপক মাসুদ রেজা জানান, এভাবে দুইপাড়ের মাটি ভাঙা বন্ধ না করা হলে আবারও ভরাট হয়ে যাবে নদী। বৈচিত্র্যও হারাবে। হুমকির মুখে পড়বে পরিবেশ। মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন জানান, নদীর দুই পাড়ে ব্যক্তি মালিকানা জমি থাকায় বনায়ন করা সম্ভব হয়নি। ভৈরব নদীটি প্রথম পযাের্য়র পুনঃখননের কাজ শেষ হয়েছে। দ্রæত সময়ের মধ্য দ্বিতীয় পযাের্য় আবারও ১৮ কি. মি. পুনঃখনন করা হবে। এর সঙ্গে নদীর মাটি শাসন ও বনায়ন করার পরিকল্পনা আছে।