কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক বেহাল

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

উখিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক এখন মরণফঁাদে পরিণত হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিশেষ করে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেয়ার পর উখিয়ার সড়কগুলো বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সেখানে প্রায়শ যানজট লেগেই থাকে। সড়কের এ অবস্থার জন্য সওজকে দায়ী করেছেন সচেতন নাগরিকরা। গত বুধবার সকালে বালুখালী কাস্টমস অফিস সংলগ্ন ও থাইংখালী এলাকায় ত্রাণবাহী ও বঁাশভতির্ ট্রাক বড় বড় খানাখন্দকে পড়ে উল্টে যায়। এ সময় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে দু’পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে যায়। যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা সীমাহীন দুভোের্গর শিকার হয়। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মালামাল ও উল্টে যাওয়া ট্রাক অপসারণ করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সড়ক সংস্কার ও খানাখন্দক ভরাটের জন্য লাখো টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের উখিয়ার অংশে ভয়ানক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সুশীল সমাজের নেতারা জানান, মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা কুতুপালং, থাইংখালী, বালুখালী, পালংখালীসহ বিভিন্ন স্থানের ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়ার পর উখিয়ার সড়কগুলোতে নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য শত শত ত্রাণবাহী ও বঁাশ, ইট, বালু, গাছভতির্ ট্রাক যাতায়াতের কারণে সড়ক বেহাল হয়ে পড়েছে। সরজমিন পরিদশের্ন দেখা যায়, রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবার নামে আই এনজিও এবং দেশীয় এনজিও এবং দাতা সংস্থার শত শত গাড়ি চলাচল বেড়ে গেছে। রাজনৈতিক নেতাদের অভিমত, আন্তজাির্তক সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের জন্য হাজার হাজার মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিলেও সড়ক সংস্কারের জন্য তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। প্রতিদিন বাড়ছে সড়ক দুঘর্টনা। তাজা প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য যাত্রী। দুঘর্টনার শিকার হয়ে শত শত নারী-পুরুষ ও শিশুরা পঙ্গু হয়ে পড়েছে। সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ দিলেও কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগ চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। গতর্ ও খানাখন্দক ভরাট না করে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উখিয়া উপজেলা নিবার্হী কমর্কতার্ মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, সড়কের দু’পাশে ৬ ফুট প্রস্থ করার জন্য বিশ্বব্যাংক অথর্ বরাদ্দ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বরাদ্দ এলে সড়কের কাজ শুরু হবে।