বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাণীশংকৈলে সার সংকটে বিপাকে কৃষক

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
  ৩০ জুলাই ২০২১, ০০:০০

ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে ইউরিয়া ও নন-ইউরিয়া টিএসপি এমওপি (পটাশ) সারের সংকট দেখা দিয়েছে। সার ডিলারেরা বলছেন, উপজেলায় সারের চাহিদার তুলনায় যোগান কম দেওয়ায় এ সংকট দেখা দিয়েছে। রোপা আমনের ভরা মৌসুমে সারের সংকট দেখা দেওয়ায় বিপাকে রয়েছেন কৃষকরা। বুধবার আমজুয়ান গ্রামের কৃষক মোবারক পৌর শহরের পাঁচটি দোকান ঘুরে কৃষি অফিসের সহায়তায় তার রোপা আমন ধানের জন্য ৬ বস্তা সার পেয়েছেন। একইভাবে বনগাঁও গ্রামের আহসান হাবিব বলেন- চাহিদা থেকে কম সার নিয়ে আমার ১০ বিঘা ধানের জমির জন্য ইউরিয়া লাগবে কমপক্ষে ১০০ কেজি, টিএসপি লাগে ১১০ কেজি অথচ সার পেয়েছি তারও অর্ধেক আবার মূল্যে বেশি। তাছাড়া সরকারি দর ১৬ টাকা হলেও খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৭ থেকে ১৮ টাকা।

সরেজমিনে গেলে বিসিআইসি সারের ডিলার মলিস্নক ট্রেডার্সের ছেলে মিঠু জানান, সার সংকট নেই তবে চাহিদার তুলনায় যোগান আপাতত কম। তাছাড়া ঢিকা সার রয়েছে যা রেশিও করতে হয়, সে সারগুলো কৃষক নিতে চায় না। আরেক বিসিআইসি ডিলার মন্ডল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শিখা মন্ডল বলেন, আপাতত কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী সার দেওয়া যাচ্ছে না। তবে যারা ৫ বস্তা ইউরিয়া চায় তাদের ২ বস্তা দেওয়া হচ্ছে। টিএসপি সারের চাহিদা আছে তবে পর্যাপ্তভাবে আপাতত দেওয়া যাচ্ছে না। আগামী ১ তারিখ থেকে এ সংকট থাকবে না বলে তিনি মন্তব্য করে বলেন, সে সময় চাহিদা অনুযায়ী সার দেওয়া হবে। বিএডিসি সারের ডিলার আজম ও মিঠু বলেন, আমরা ইউরিয়া কেজি হিসাবে বিক্রয় করছি। তাছাড়া টিএসপি চাহিদা অনুযায়ী যোগান কম সারা মাসেই থাকে। ডিলার আজম বলেন, এ উপজেলায় সারের ডিলার অনেক বেশি হয়ে গেছে, বরাদ্দকৃত সার তাই অনেক ভাগ হয়। এতে চাহিদামূলক ডিলাররা সার কম পায়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, সার পর্যাপ্ত রয়েছে। উপজেলার নেকমরদ বাজারের দোকানে ভরপুর সার। তাছাড়া সারের জন্য আরও চাহিদা দিয়ে বরাদ্দ চেয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে