উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স নানা সমস্যায় জর্জরিত

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২১, ০০:০০

এম এইচ শিপন, বোরহানউদ্দিন (ভোলা)
ভোলার বোরহানউদ্দিন ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নানা সমস্যায় জর্জরিত। দীর্ঘদিন ধরে নজিরবিহীন চিকিৎসক ও কর্মচারীর পদ শূন্যতায় এ হাসপাতালে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গত ১ সপ্তাহে প্রায় ১শ' করোনা রোগী শনাক্ত হলেও হাসপাতালে কোভিড বিশেষায়িত ইউনিট নেই। আশঙ্কাজনক রোগীদের ভোলা সদর হাসপাতাল বা বরিশালে প্রেরণ করা হয়। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে সহসাই পুরুষ ওয়ার্ডটিকে কোভিড রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৩টি অক্সিজেন সিলিন্ডার তাদের কাছে মজুত আছে। হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা যায়, জনবল কাঠামো অনুযায়ী হাসপাতালে ২১ জন ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে ৯ জনসহ মোট ৩০ জন এমবিবিএস ডাক্তার থাকার কথা। ইউনিয়ন পর্যায়সহ হাসপাতালে কাগজে-কলমে বর্তমানে ১১ জন ডাক্তার কর্মরত আছেন। এর মধ্যে ১ জন ডাক্তারের বরগুনা জেলায় ডেপুটেশনের অর্ডার হয়েছে। অন্যান্য পদেও রয়েছে তীব্র জনবল সংকট। হাসপাতালে প্রায় ১০ বছর আগে পাওয়া এক্স-রে মেশিন রেডিওগ্রাফারের অভাবে কোনো সেবা দেওয়ার আগেই মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে আছে। প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে ৩ জন টেকনোলজিস্টদের মধ্যে কাগজে-কলমে আছে ১ জন। তাও তিনি প্রেষণে (ডেপুটেশনে) ভোলা সদর হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবে কর্মরত। প্যাথলজিক্যাল ল্যাব ১ জন ল্যাব এসিস্ট্যান্ট দিয়ে করোনা শনাক্তের পাশাপাশি রোগীদের নিয়মিত পরীক্ষা কোনোরকমে চলছে। সরেজমিন দেখা যায়, দক্ষিণ পাশে দ্বিতল হাসপাতাল ভবনের সাথে লাগোয়া উঁচু ময়লার ভাগার। ওই স্থানে ব্যবহৃত ইঞ্জেকশনের অ্যাম্পুল, স্যালাইনসহ অন্যান্য বর্জ্য। ভবনের দ্বিতীয় তলায় শিশু ইউনিট। ওই ইউনিটের বাথরুমের পাইপ নিচের সেপটিক ট্যাংকির থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিচে মল-মূত্র পড়ছে। শিশু ও মহিলা ইউনিটের ভর্তি রোগীরা জানান, একটু বাতাস হলে মল-মূত্রের দুর্গন্ধে পেটের নাড়ি-ভুঁড়ি উল্টিয়ে আসে। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তপতী চৌধুরী বলেন, ময়লা, বর্জ্যের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকৌশল শাখায় চিঠি দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সীমিত জনবল নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।