রূপগঞ্জে ১ মাসে ৬ লাশ উদ্ধার

প্রকাশ | ০১ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

ম রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
খুন, সন্ত্রাস, মাদক ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ছাড়াও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে দিনদিন অশান্ত হয়ে উঠছে রূপগঞ্জ। গত এক মাসে রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছয়টি লাশ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক আরও বাড়ছে। ছয় লাশের প্রতিটি হত্যাকান্ড বলে ধারণা করছে পুলিশ। প্রতিটি ঘটনায়ই রূপগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। এসব অজ্ঞাত হত্যাকান্ডকে ঘিরে চরম আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, গত ৬ জুলাই তারাবো পৌরসভার বরপা এলাকাস্থ সেবা সিএনজি পাম্পের সামনে থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। ৮ জুলাই কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে সামসু নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সে পুনর্বাসন কেন্দ্রের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মান্নানের ছেলে। ৯ জুলাই ভূলতা ফ্লাইওভারের ওপর হাত বাঁধা অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। সে উপজেলার চারিতালুক এলাকার মিন্নত আলীর ছেলে। গত ২৩ জুলাই উপজেলার চরপাড়া ও টেংরারটেক এলাকায় দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিখোঁজের একদিন পর জিয়াসমিন নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২৫ জুলাই রাতে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর ঘাট থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত জিয়াসমিন বেগম উপজেলার তারাবো পৌরসভার বরপা শান্তিনগর এলাকার মৃত সামসুল হকের স্ত্রী। রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া এলাকার একটি বিল থেকে ১৬ জুলাই এক কিশোরীর (১৪) লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। কিশোরীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। রূপগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম সায়েদ বলেন, প্রতিটি খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে। খুনের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করা হবে।