ছিটমহল বিনিময়ের ৬ বছর দাসিয়ারছড়াকে মুজিব-ইন্দিরা ইউনিয়ন দাবি

প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

ম ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময়ের ৬ বছরপূর্তি পালন করেছে বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী। শনিবার দিবাগত ১২টা ১ মিনিটে ভারতের ৫১টি ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরের ১১১টি বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী করোনাকালীন স্বল্প পরিসরে বর্ষপূতি পালন করেছে। এর মধ্যে দেশের বৃহৎ বিলুপ্ত ছিটমহল কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ারছড়াবাসী পৃথকভাবে ছিটমহল বিনিময়ের ৬ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান পালন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল অলোচনা সভা, ৬৮ মোমবাতি ও ৬টি মশাল প্রজ্বলন, কেককাটা ও দোয়া মাহফিল। দাসিয়ারছড়ার সমন্বয় পাড়া উচ্চবিদ্যালয়ে বাংলাদেশ-ভারত বিলুপ্ত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বিলুপ্ত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ ইউনিটের সাবেক সভাপতি মইনুল হক। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি বাংলাদেশ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা। দাসিয়ারছড়ার কামালপুর বাজারের কর্মসূচিতে রাত ১১ টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, জুলহাস হোসেন মন্ডল, মোজাফ্‌ফর হোসেন, কামালপুর মইনুল হক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই প্রমুখ। বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার প্রাণকেন্দ্র কলীরহাটেও কর্মসূচিতে ছিটমহল বিনিময়ের ৬ বছর পূর্তি পালন করা হয়েছে। এবার ছিটমহল বিনিময়ের ৬ বছর পূর্তির কর্মসূচিতে মূল দাবি ছিল দেশের বৃহৎ বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়াকে মুজিব-ইন্দিরা ইউনিয়ন নামকরণ ও দাসিয়ারছড়ার সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তকরণের ঘোষণা করা। ভূঞাপুরে পেটের দায়ে ছুটছে মানুষ ম ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থেকে পেটের দায়ে কর্মস্থল রাজধানী ঢাকার দিকে ছুটছে মানুষ। মহামারি করোনার কারণে দীর্ঘ লকডাউনে বেকার হয়ে পড়া ভূঞাপুরের নদী ভাঙন কবলিত ও চর এলাকার গার্মেন্টকর্মী, রিকশা শ্রমিক, কারখানার শ্রমিকরা লকডাউন উপেক্ষা করে স্রোতের মতো নিজ কর্মস্থলের দিকে ছুটছে। গার্মেন্ট ও শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার কারণে করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে, স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই এসব কর্মজীবী নারী-পুরুষকে বাস-ট্রাকে গাদাগাদি করে এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে দেখা গেছে। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের লকডাউন মানাতে। এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ওসি আব্দুল ওহাব জানান, পুলিশ বাহিনীর শতভাগ চেষ্টা সত্ত্বেও লকডাউন মানাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।