রংপুরে বৃষ্টি ও ধুনটে সড়কের অভাবে বিপাকে কৃষক

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

রংপুর প্রতিনিধি
রংপুর অঞ্চলে এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় আমন চারা রোপণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ কৃষকরা। ফলে তাদের চারা রোপণের জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। বিশেষ করে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষিরা ধারদেনা করে জমিতে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করছেন। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান মন্ডল জানান, রংপুর জেলায় এবার ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৪১ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণের জন্য জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদন ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭৬ মেট্রিক টন চাল। ২ আগস্ট পর্যন্ত জেলায় ৫৬ হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে। যা শতকরা হারে ৩৬ শতাংশ। তিনি জানান, এবার রংপুর জেলায় বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। সে জন্য কৃষকরা জমিতে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করছেন। এজন্য তাদের উৎপাদন খরচ বাড়তে পারে। তবে চলতি আগস্ট মাসে প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাত হলে কৃষকদের আর কোনো অসুবিধা হবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ১ আগস্টের মধ্যে আমন চারা রোপণের সময় নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। তবে আগস্ট মাসজুড়ে চারা রোপণ করা যাবে। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহবুবর রহমান বলেন, বৃষ্টির সময় এখনো রয়েছে। উঁচু জমিতে যেন পানি সেচ দিয়ে ধান রোপণ করা না হয়। এতে সাধারণ কৃষকের সামান্য কষ্ট হবে। তবে বৃষ্টি হলে তাদের জন্য কাজটি করা অনেক সহজ হবে। এদিকে আমাদের ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বগুড়ার ধুনট উপজেলার আরকাটিয়া মোহনপুরে রাস্তার অভাবে ৫টি গ্রামের শতাধিক বিঘা ফসলি জমি চাষাবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। তারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মোহনপুর গ্রামের কৃষক বেলাল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম ও শাহ আলী জানান, ইছামতি নদীর মোহনপুর ঘাটে একটি ব্রিজ ও সড়ক নির্মাণ ছিল গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। স্থানীয় এমপি হাবিবর রহমানের প্রচেষ্টায় ব্রিজ ও সড়কটি নির্মিত হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্রিজ ও সংযোগ সড়ক থেকে জমিতে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা রাখেনি। এতে সড়কের দু'পাশের শতাধিক বিঘা ফসলি জমি চাষাবাদ করতে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কৃষকদের। এ কারণে চিকাশী, সুলতানহাটা, আরকাটিয়া, মোহনপুর ও পারধুনট গ্রামের কৃষকদের বিপদে পড়তে হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রম্নত পদক্ষেপ নিতে গ্রামবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, ব্রিজের নিচ দিয়ে নৌকা যাতায়াতের জন্য নকশা অনুযায়ী নির্ধারিত উচ্চতায় ব্রিজ ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু কৃষকের জমিতে যাতায়াতে রাস্তা নির্মাণের জন্য অতিরিক্ত কোনো বরাদ্দ না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে অন্য কোনো দপ্তরের বরাদ্দ থেকে রাস্তা নির্মাণের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, কৃষকদের সুবিধার্থে অন্য কোনো প্রকল্প থেকে জমিতে যাওয়ার রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।