নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ নিধন

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) সংবাদদাতা
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকার অব্যাহত রেখেছে সংঘবদ্ধ জেলেরা। কখনো কখনো এসব জেলে অভিযানকারী দলের উপর মারমুখী হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার বেলা ১টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের দুগর্ম চর কণের্শন এলাকায় পদ্মায় ইলিশ শিকার বন্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে জেলেদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে পুলিশসহ অভিযানকারীরা। এ সময় অভিযানকারীরা পিছু হটে গিয়ে পুনরায় বিপুলসংখ্যক ফোসর্ নিয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার রুবায়েত হায়াত শিপলু ও গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি এজাজ শফীর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে। তবে তার আগেই সেখান থেকে জেলেরা পালিয়ে যায়। এ সময় সেখান থেকে ১ জেলেকে গ্রেপ্তার, ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও বেশ কয়েকটি জেলে নৌকা জব্দ করে। জানা গেছে, আগামী ২৮ অক্টোবর পযর্ন্ত নদীতে ইলিশ শিকার ও বেচা-কেনা সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও গোয়ালন্দ উপজেলা, মানিকগঞ্জের শিবালয় ও পাবনার বেড়া অঞ্চলের জেলেরা পদ্মা-যমুনা নদীতে মাছ শিকার অব্যাহত রেখেছে। তবে এক্ষেত্রে তারা পদ্মার অপেক্ষাকৃত দুগর্ম এলাকায় ইলিশ মাছ শিকার করছে। অভিযান দলকে এড়িয়ে যেতে তারা দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট এলাকা এড়িয়ে নদীর প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে গিয়ে মাছ শিকার করছে। শিকার করা মাছগুলো তারা কেউ কেউ গ্রামাঞ্চলে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছেন। আবার বিভিন্ন উপায় কেউ কেউ সংরক্ষণও করছেন। গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি এজাজ শফী জানান, শনিবার পদ্মাপাড়ের একটি স্থানে ফোসর্ নিয়ে অভিযানে গেলে সেখানে বিপুলসংখ্যক জেলে দেখে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে পুলিশ পিছু হটে। দ্রæত সময়ের মধ্যে সেখানে অতিরিক্ত ফোসর্ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে বেশির ভাগ দুবৃর্ত্ত সেখান থেকে পালিয়ে গেছে। গোয়ালন্দ উপজেলা নিবার্হী অফিসার রুবায়েত হায়াত শিপলু জানান, বিপুলসংখ্যক দুবৃর্ত্ত পদ্মায় ইলিশ শিকারের চেষ্টা করছে এমন খবরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখান থেকে আটক এক জেলেকে ১৫ দিনের কারাদÐ ও ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি জেলে নৌকা ধ্বংস করে দেয়া হয়।