শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিভিন্ন অভিযোগে তিন জেলায় গ্রেপ্তার ২৪

গাইবান্ধায় ৪, নাটোরে ১৬ ও ঢাকার ধামরাইয়ে ১ জন গ্রেপ্তার
স্বদেশ ডেস্ক
  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

তিন জেলায় ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গাইবান্ধা, নাটোর ও ঢাকার ধামরাই থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গাইবান্ধা : গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে বিলুপ্তপ্রায় বিরল প্রজাতির ৬ তক্ষকসহ (টক্কর সাপ) ৪ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছের্ যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান গাইবান্ধা র্(যাব-১৩) সদস্যরা।র্ যাব-১৩ কমান্ডার মো. আব্দুর রাজ্জাক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শাহজাহান (৪০), ওসমান গণি (৪০), জাকির হোসেন (২৬), সাহাবুল। এ ব্যাপারে পলাশবাড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে

নাটোর : রাজশাহীর সাহেব বাজারের একটি আবাসিক হোটেল থেকে মানব পাচার চক্রের ৭ নারীসহ ১৬ সদস্যকে আটক করেছের্ যাব-৫ সিপিসি নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার সাহেব বাজারের আবাসিক হোটেল ওয়েলকাম থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে এক লাখ ৯ হাজার টাকা ও ২১টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বোয়ালিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

আটককৃত হলেন, রাজশাহীর রামচন্দনপুর এলাকার আবেদ সরকারের ছেলে আমিনুল ইসলাম, দর্গাপাড়া এলাকার নওশাদ আলীর ছেলে আসাদ আলী ওরফে সুজন, বাবলুর রহমানের ছেলে সাধীন, হোসনীগজ্ঞ গ্রামের মৃত মাজদার রহমানের ছেলে গোলাম রাব্বানী, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের নিজবাড়ী গ্রামের শিশিন চন্দ্র দাসের ছেলে সুজন দাস, রাজশাহীর দুর্গাপুরের পাঁচুবাড়ি এলাকার তমসের আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম, রাজশাহীর বেলপুকুর থানার ছত্রগাছা এলাকার একরাম আলীর ছেলে মোকলেছুর রহমান ও নারায়নপুরের মৃত সাহাদ আলীর ছেলে নসিব আলী ও হাদির মোড় এলাকার রমজান আলীর ছেলে শাহিন ইসলাম। বাকি ৭ জন নারীর পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। অন্যদিকে নাটোরে অ্যাম্বুলেন্স থেকে সাড়ে ৩২ কেজি গাঁজাসহ তিনজনকে আটক করেছের্ যাব-৫। শুক্রবার সদর উপজেলার পূর্ব হাগুরিয়া এলাকার একটি ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন অ্যাম্বুলেন্সের চালক রানা আহমেদ, হেলপার শাহ আলম ও আলামিন হোসেন।

ধামরাই (ঢাকা) : ঢাকার ধামরাইয়ে ১৭ বছর আগে তৈয়বুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে সৌদি আরব পাড়ি দিয়েছিলেন ফিরোজ আলম নামের এক আসামি। মামলা শেষ হয়ে গেছে ভেবে দেশে আসেন তিনি। বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধামরাইয়ের কালামপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের পাশ থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি। গ্রেপ্তার ফিরোজ আলম ধামরাই উপজেলার শরীফবাগ গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।

জানা গেছে, ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধামরাইয়ের শরীফবাগ গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে তৈবুর রহমানকে পৌরসভার সীমা সিনেমা হলের সামনে ছুরিকাঘাত করে ফিরোজ আলম। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তৈয়বুর রহমান। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতে পিতা। এ মামলায় কিছুদিন পালিয়ে থেকে ফিরোজ আলম সৌদি আরবে চলে যান। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। সৌদি আরবে ১৭ বছর অবস্থান করার পর দেশে আসেন ফিরোজ।

ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালামপুর সাব রেজিস্ট্র্রি অফিসের পাশ থেকে তৈয়বুর রহমান হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফিরোজ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে