পেশা হারিয়ে মানবেতর জীবনে জেলে সম্প্রদায়

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
হাওর অঞ্চলের ২০ হাজারেরও বেশি জেলে পরিবারের জীবনে আসছে চরম দুর্দিন। বংশানুক্রমিক মাছ ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসা এসব জেলে পরিবার যেন বাঁচার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে। একদিকে মৎস্য সম্পদ হ্রাস, অন্যদিকে ইজারাদার ও প্রভাবশালী লোকজনের শোষণ-অত্যাচার ইত্যাদিতে অতিষ্ঠ হয়ে ইতোমধ্যেই অনেক জেলে পরিবার পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় নিয়োজিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। জানা যায়, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের হাওড়ে পেশাগতভাবে এ অঞ্চলে ছোট-মাঝারি কৃষক আর ক্ষেতমজুর, দিনমজুর মানুষই সংখ্যাগরিষ্ঠ। এসব খেটে খাওয়া লোকজন সারা বর্ষা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। তবে স্রোতবহ নদী এবং জলমহালগুলোর প্রতিটি ইজারাদার এবং প্রভাবশালী লোকজনের দখলে। প্রকৃত মৎস্যজীবী সমিতিতে ইজারা নেওয়ার পুঁজি না থাকায় অমৎস্যজীবীদের সদস্য করে সমিতি রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। নদীগুলো ইজারা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জেলেদের মাছ ধরতে না দিয়ে এবং বাঁশ-কাঁটা দিয়ে নদীর নাব্য হ্রাস করা, পাটিবাঁধ ও বিভিন্ন ধরনের অবৈধ জালে মাছ ধরা ইত্যাদি সরকারি নিষেধ অমান্য করে কোটি কোটি টাকা লাভবান হচ্ছেন তারা। এ ব্যাপারে হাওড় অঞ্চলবাসী ঢাকা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান কামরুল ইসলাম বাবু বলেন, বেআইনিভাবে উন্মুক্ত নদীগুলো লিজ দেওয়ায় নদীর নাব্য হারানো এবং অপরিকল্পিত ড্রেজিংয়ের ফলে মাছের অভয়ারণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়া অন্যতম কারণ। তাতেই হাওড়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেশি।