মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভারী বর্ষণে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা

ম স্বদেশ ডেস্ক
  ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত একটানা ভারী বর্ষণে কুমিলস্নার তিতাস ও হবিগঞ্জের লাখাইয়ের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ডুবে গেছে সড়ক ও স্থাপনা। সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর।

তিতাস (কুমিলস্না) : কুমিলস্নার তিতাসে শনিবার রাত ৯টা থেকে রোববার ভোর ৬টা পর্যন্ত একটানা ভারী বর্ষণে গ্রাম্য রাস্তাগুলোতে ব্যাপক ধসের সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক থেকে দু'পাশের বসতবাড়ি উঁচু হওয়ায় অনেক রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে।

জানা যায়, উপজেলার গৌরীপুর-হোমনা সড়কের গাজীপুর থেকে মোহনপুর রাস্তা অসংখ্য জায়গায় ভেঙে গেছে। যার ফলে রাস্তায় চলাচলকৃত যানবাহন সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। বাতাকান্দি থেকে মাছিমপুর সড়কের কালাই গোবিন্দপুর ও মাছিমপুর বাজার এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে কলাকান্দি গ্রামের সড়ক, বন্দরামপুর থেকে নয়াকান্দি সড়ক, কড়িকান্দি বাজার থেকে রাজাপুর সড়ক, গোরীপুর-হোমনা সড়ক থেকে শোলাকান্দি সড়ক, শাহপুর থেকে লালপুর সড়ক, সাগরফেনা থেকে কানাইনগর সড়ক, পাঙ্গাসিয়া থেকে বলরামপুর নয়াবাজার সড়ক, মৌটুপী থেকে ইউসুফপুর সড়ক, শিবপুর থেকে চান্দনাগেরচর সড়কে ব্যাপক ধসের কারণের জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় উপজেলা পরিষদের মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন বাজারের অলি-গলিতেও বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে।

কড়িকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. শাহআলম বলেন, বন্দরামপুর-নয়াকান্দি বাজার রাস্তার জাপানি হালিমের বাড়ি থেকে আফিয়া কামাল কিন্ডার গার্টেন ও এর পরের অংশে বৃষ্টি পানি জমে থাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। মানুষ হেঁটে দূর-দূরান্তে যাচ্ছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকার বলেন, রাতে তিতাসে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় অনেক রাস্তা-ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার তালিকা পেলে ক্ষুদ্র মেরামতের আওতায় তা যথাসম্ভব সংস্কার করা হবে।

লাখাই (হবিগঞ্জ) : হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার প্রাণকেন্দ্র স্থানীয় বুলস্না বাজার। প্রায় কয়েক শতাধিক ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকের কর্মস্থান এখানে। বুলস্না বাজারে প্রতিদিন প্রায় সহস্রাধিক লোকের সমাগম থাকে। ঐতিহ্যবাহী এ বাজারটি আশপাশের ৬টি ইউনিয়নের মূল বাণিজ্যিক কেন্দ্র হলেও পাশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, বানিয়াচং ও হবিগঞ্জ সদরসহ দূরদূরান্ত থেকে মানুষের সমাগম ঘটে। বিশেষ করে শনিবার ও মঙ্গলবারে দূরবর্তী মানুষের উপস্থিতি থাকে উলেস্নখ করার মতো। অথচ সামান্য বৃষ্টিতেই বাজারের অলিগলিতে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা, সৃষ্টি হয় সীমাহীন দুর্ভোগ। এতে করে যেমন ভোগান্তি হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের, তেমনি ম্স্নান হচ্ছে বাজারের ঐতিহ্য ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন বাজারের ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতাসহ ভুক্তভোগীরা।

এ বাজারে নির্দিষ্টস্থানে ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য কোনো ডাস্টবিন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী না থাকায় আনাচে-কানাচে জমা হচ্ছে ময়লা আবর্জনার স্তূপ। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সচেতনতার অভাবে সেই ময়লা আবর্জনা স্তূপ নির্মিত ড্রেনে জমার কারণে বাড়ছে অলিগলিতে জমছে পানি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা যেমন হোক বৃষ্টির পানি সহজে নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুসিকান্ত হাজং বলেন, বাজারের রাস্তা পরিচ্ছন্নতার একটা দ্রম্নত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাটমোহরে আদিবাসীদের

কারাম উৎসব অনুষ্ঠিত

ম চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

ভাদ্র একাদশীর তিথিতে ঐতিহ্যবাহী কারাম উৎসবে ঢোল আর ঝুমুরের তালে মাতোয়ারা পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের আদিবাসী বেদিয়া মাহাতো জাতিসত্তার নারী-পুরুষরা। ঢোলের তালে মুখরিত হয়ে ওঠে এ আদিবাসী গ্রামটি। বংশপরম্পরায় পালন করে আসছে কারাম পূজা বা উৎসব। এ উৎসবে তাদের পরিবারের মঙ্গল কামনায় মেতে ওঠে আদিবাসীরা।

চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের আদিবাসী বেদিয়া মাহাতোরা শুক্রবার ভাদ্র মাসের একাদশী তিথিতে আদিবাসী বেদিয়া মাহাতোদের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় কারাম উৎসব পালন করে। সন্ধ্যায় কারাম পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেদিয়া মাহাতো নারী-পুরুষ মেতে উঠে ঢোলের তালে ঝুমুরের সুরে সারারাত নৃত্য পরিবেশনায়। এ কারাম উৎসবে বেদিয়া মাহাতো ছাড়াও আশপাশের মুন্ডা, ভূমিজ আদিবাসী মানুষজন অংশগ্রহণ করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে