হাঁটি হাঁটি পা পা করে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ষোল পেরিয়ে ১৭-তে পদার্পণ করল আজ। বুড়িগঙ্গার নদীর তীরে গড়ে ওঠা এক সময়ের পাঠশালাটি ১৮৫৮ সালে ব্রাহ্ম স্কুল হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ১৮৭২ সালে জগন্নাথ স্কুল, ১৮৮৪ সালে দ্বিতীয় শ্রেণির কলেজ, ১৯০৮ সালে প্রথম শ্রেণির কলেজ এবং ২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
তবে করোনাকালে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্যাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। ২০ অক্টোবর ঈদে মিলাদুন্নবী ও লক্ষ্ণীপূজা হওয়ায় আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক অর্জনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মো. ইমদাদুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাফল্যে তারা আনন্দিত। করোনাকালে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অর্জন সত্যিই বিস্ময়কর। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দিতে তিনি কাজ করছেন। তারা গবেষণা খাতে গতবারের চেয়ে বাজেট বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে লাইব্রেরি, আইসিটি, কম্পিউটার কেনার ক্ষেত্রেও বাজেট বাড়ানো হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণা কাজ সহজতর করতে চুক্তি করেছেন। তারা দ্রম্নততম সময়ে পরমাণু শক্তি কমিশন, ঢাবি ও বুয়েটের সঙ্গেও চুক্তি করবেন।
তিনি আরও বলেন, 'করোনাকালীন পরিস্থিতিতে প্রায় অর্ধকোটি টাকা শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার
জন্য কেন্দ্র স্থাপন এবং কোভিডের সময়েও গত ঈদে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব পরিবহণে বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন এবং একটা পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেওয়ার প্রত্যাশা রেখে কাজ করে যাবেন।