আমতলীতে দুই বাস কেড়ে নিল মা-ছেলের জীবন নীলফামারী ও সালথায় আরও দুই মৃতু্য

প্রকাশ | ২৫ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

ম স্বদেশ ডেস্ক
বরগুনার আমতলীতে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-ছেলের মৃতু্য হয়েছে। এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নীলফামারী ও ফরিদপুরের সালথায় আরও দু'জনের মৃতু্য হয়। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : আমতলী (বরগুনা) : আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের আমড়া গাছিয়া নামক স্থানে শনিবার বিকালে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মা আয়সা বেগম (৩২) ও ছেলে আয়ান (৮) মাস নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে ২০ জন। আহতদের উদ্ধার করে আমতলী ও পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, শনিবার আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের আমড়া গাছিয়া নামক স্থানে আমতলী থেকে দিনাজপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া গোল্ডেন লাইন পরিবহণ এবং কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা সেবা পরিবহণের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মা আয়সা (৩২) এবং ৮ মাস বয়সি ছেলে আয়ান নিহত হয়। নিহত আয়সার স্বামী শাহিন এবং মেয়ে রেবেকাও গুরতর আহত হয়েছে। নিহত মা-ছেলের বাড়ি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩৯নং ওয়ার্ডের সিপিজেড এলাকায়। এ ঘটনায় আহত হয় ২০ জন। আহতরা হলেন রেবেকা (২৬), আসাদুল (২৮), চন্দন মলিস্নক (২৬), রুজেল (৩২), শাহিন (৩৫), হানিফ (৪০), লতা (৩০), রাজিব (৩০), এমরান (৩০), তপন ও গোল্ডেন লাইন বাসের চালক তপন (৬০) ও অন্যরা। আমতলী থানার ওসি শাহ আলম হাওলাদার জানান, লাশ উদ্ধার ও বাস দু'টিকে জব্দ করা হয়েছে। নীলফামারী : নীলফামারীতে মোস্তাকিন নামের এক কিশোর সখের বসে মোটর সাইকেল চালাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে। রোববার নীলফামারী সদরের নীলসাগর সড়কের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের আমতলী নামক স্থানে ঘটনাটি ঘটে। নিহত মোস্তাকিন (১৫) সদর উপজেলার চওড়া ইউনিয়নের কাঞ্চনপাড়া আলসিয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে। স্বজনরা জানায়, সখের বসে মোস্তাকিন বাবার মোটর সাইকেল নিয়ে চালাতে বের হয়। সে হেলমেট ব্যবহার না করে মোটরসাইকেল চালিয়ে নীলসাগর সড়কের দিকে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক দিয়ে আসা ট্র্যাংলরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সে ঘটনাস্থলে নিহত হয়। সালথা (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজারে তিন চাকার ট্রলি চাপা পড়ে ভ্যানচালক মহিদুল সেখের (২৪) মৃতু্য হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত ওসমান সেখের ছেলে। শনিবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, মহিদুল ভ্যান নিয়ে ফুকরা বাজারে রাস্তার পাশে আরোহীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় একটি ট্রলি পেছন থেকে ভ্যানে ধাক্কা দিলে তিনি পাকা রাস্তায় পড়ে যান ও ট্রলির চাকা তার মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়। পরে সালথা ইউএনও তাছলিমা আক্তারের গাড়ির সামনে পড়লে তিনি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।