সমুদ্রপথে ফের মানব পাচার

দালাল ও রোহিঙ্গাসহ আটক ৩৯ জন

প্রকাশ | ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

টেকনাফ (কক্সবাজার) সংবাদদাতা
সমুদ্রপথে ফের মানব পাচারের চেষ্টাকালে সেন্ট মাটির্ন দ্বীপের বঙ্গোপসাগর থেকে ছয় দালাল ও রোহিঙ্গাসহ ৩৯ জনকে আটক করেছে কোস্টগাডর্ সদস্যরা। এতে রোহিঙ্গা নারী ও শিশু রয়েছে। এ সময় পাচারে ব্যবহৃত ট্রলারটিও জব্দ করা হয়েছে বলে জানায় কোস্টগাডর্। এদিকে গত দুই দিনে মালয়েশিয়া মানব পাচারের চেষ্টাকালে ছয় দালালসহ ৫৩ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছেন বাংলাদেশ কোস্টগাডর্ ও বিজিবি। কোস্টগাডর্ টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে. ফয়েজুল ইসলাম মÐল বলেন, বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফের সেন্ট মাটির্ন দ্বীপের দক্ষিণ-পূবর্ বঙ্গোপসাগর থেকে একটি ট্রলার থেকে ছয় দালাল ও রোহিঙ্গাসহ ৩৯ জন নারী-শিশু ও পুরুষকে আটক করা হয়েছে। আটক দালালরা হলেন, মহেষখালী গোরঘাটা কুতুবজোন এলাকার মৃত মোজার মিয়ার ছেলে ট্রলার মালিকের ভাই আব্দু শুক্কুর ও মাঝি আব্দুল গফুর, একই এলাকার মৃত মো. হোসনের ছেলে রফিকুল ইসলাম, মো. শরিফের ছেলে মো. সৈকত, মো. আব্দুল হাকিম প্র. সোনামিয়ার ছেলে নাসির উদ্দীন, মৃত মো. দবিরুলের ছেলে মো. জুয়েল। তাদের মধ্যে ৪ জন বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছে। তারা হলেন-টাংগাইল জেলার কবীর উদ্দীন, মাজেদুর রহমান, পেকুয়া উপজেলার মো. কাশেম ও মানিক হোসেন। অন্যদের মধ্যে ১০ নারী, ১০ পুরুষ ও ৯ শিশু রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছে। এরা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। এ ছাড়া গত মঙ্গলবার ২ বডার্রগাডর্ ব্যাটলিয়নের একটি টহলদল টেকনাফ সাবরাং শাহপরীরদ্বীপ ঘোলারচরসংলগ্ন উপক‚ল থেকে মালয়েশিয়াগামী ১৪ রোহিঙ্গা নারী, পুরুষকে উদ্ধার করেছেন। উদ্ধার রোহিঙ্গারা উখিয়া-টেকনাফে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। এদের মধ্যে পঁাচ জন রোহিঙ্গা নারী যুবতীও ছিল। গত বছরের আগস্টের পর থেকে মায়ানমারে হত্যা, নিযার্তন ও বাড়ি-ঘরে আগুনের ঘটনা ঘটলে প্রাণে বঁাচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এ ছাড়া আগে থেকে রয়েছে প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা। সব মিলিয়ে ১২ লাখের মতো রোহিঙ্গার বসবাস। এদিকে হঠাৎ করে টেকনাফ উপক‚ল দিয়ে সাগর পথে মানব পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছে। মালয়েশিয়া পাচারের নামে একটি প্রতারকচক্র বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রলোভনে ফেলে পাচারের ফঁাদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।