কুমিলস্নায় কাউন্সিলরসহ জোড়া খুন

আসামিদের দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞায় ইমিগ্রেশনে চিঠি

প্রকাশ | ২৭ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিলস্না
কুমিলস্নায় সিটি কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল হত্যা মামলার আসামি মাসুমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার বিকালে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, আসামিরা যেন দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য ইমিগ্রেশনে চিঠি পাঠানো হয়েছে। নিহত কাউন্সিলরের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন ১১ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে ২৩ নভেম্বর রাতে মামলা দায়ের করলেও নেপথ্যে থাকা সুজানগর, নবগ্রাম, পাথুরিয়াপাড়া এলাকার বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী শুক্রবার পর্যন্ত গা-ঢাকা দিয়ে আছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এদিকে পুলিশসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সর্বশক্তি নিয়োগ করেও মামলার প্রধান আসামি শাহ আলমকে ঘটনার ৫ দিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গত ২২ নভেম্বর ওই জোড়া খুনের পর এলাকায় এখনো আতংক কাটেনি। স্থানীয়দের আয়োজনে শুক্রবার এলাকায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক কাইছার হামিদ জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি মাসুমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার বিকালে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে কুমিলস্নার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামছুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়। রিমান্ডের আবেদনের শুনানি না হওয়ায় আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনওয়ারুল আজিম জানান, শাহ আলমের বিরুদ্ধে হত্যা, দসু্যতা, মাদকসহ অন্তত ৮টি মামলা রয়েছে। এদিকে কাউন্সিলর সোহেলের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাথুরিয়াপাড়া যুবসমাজ শুক্রবার ওই এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। কুমিলস্না পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, এ মামলার আসামিদের ধরতে পুলিশসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার একাধিক টিম মাঠে অভিযানে রয়েছে। এর মধ্যে দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিরা যেন দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য ইমিগ্রেশনে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে অভিযান চালাচ্ছে বলেও পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। উলেস্নখ্য, গত ২২ নভেম্বর সোমবার বিকালে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের পাথুরিয়াপাড়া থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজের কার্যালয়ে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ ঘটনায় কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত পাঁচজন কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।