জনসংখ্যার আড়াই শতাংশ কিডনি রোগী, নেই প্রাথমিক প্রতিরোধ

প্রকাশ | ২৭ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
'৯০-এর দশকে দেশের মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ যেখানে কিডনি জটিলতায় ভুগেছে, বর্তমানে সেখানে তা বেড়ে হয়েছে আড়াই শতাংশ। এক শতাংশেরও কম রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপনের সুবিধা রয়েছে। আর কিডনি অকেজো হওয়ার পর ডায়ালাইসিস করে বেঁচে থাকতে ১২ থেকে ২২ শতাংশ রোগীকে নিজের সম্পদ বিক্রি করতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক নেফ্রলজিস্ট সম্মেলনে বিশিষ্ট কিডনি বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য জানিয়েছেন। শুক্রবার ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের বীরউত্তম মেজর হায়দার অডিটরিয়ামে যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বাংলাদেশ, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন এবং আইএসএন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কিডনি হাসপাতাল ও কিডনি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও চিফ অব কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশীদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নেফ্রলজিস্ট নেই। তবে যারা আছেন তাদের বেশিরভাগই রাজধানীতে। ফলে রাজধানীর বাইরের রোগীরা প্রয়োজন হলেও প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা পান না। কিডনি রোগটি প্রাথমিক অবস্থায় নিরূপন করতে পারলে চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া যায়। শিশু নেফ্রলজিস্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হানিফ বলেন, ধারণা করা হয়, বাংলাদেশে ১৫ লাখ শিশু নেফ্রলজির রোগী রয়েছে। কিন্তু তাদের চিকিৎসার জন্যও পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন এবং অ্যাসোসিয়েশন ফিজিশিয়ান অব বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রাফিকুল আলম, সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মামুন মোস্তাফী। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সান্ট্রিফিক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান, সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ডা. মুহিব উলস্নাহ খোন্দকার।