পঞ্চগড় হানাদারমুক্ত দিবস আজ

প্রকাশ | ২৯ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

ম পঞ্চগড় প্রতিনিধি
আজ ২৯ নভেম্বর পঞ্চগড় হানাদারমুক্ত দিবস। ৭১'র এই দিনে মুক্তিকামী জনতা কঠিন লড়াইয়ের মধ্যদিয়ে পঞ্চগড়কে পাক-হানাদার মুক্ত করেছিলেন। আগামী প্রজন্মকে দিনটি স্মরণে রাখার জন্য প্রতি বছর জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে ঘটা করে দিনটি পালন করা হয়। সোমবার সকাল ৯টায় সার্কিট হাউসের সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ ও করতোয়া সেতুর উত্তর পারে শহীদ বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর দোয়া অনুষ্ঠান এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর পাকবাহিনী সারাদেশে আক্রমণ শুরু করলেও ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত মুক্ত থাকে পঞ্চগড়। পাকিস্তানি বাহিনী সড়ক পথে ১৭ এপ্রিল সকালে পঞ্চগড় দখল করে নেয়। তবে জেলার চারটি থানা তারা দখলে নিলেও অমরখানায় চাওয়াই নদীর ওপর ব্রিজটি বীর মুক্তিযোদ্ধারা ভেঙে দেওয়ায় পাকসেনারা আর তেঁতুলিয়ায় ঢুকতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়কাল তেঁতুলিয়া ছিল পাক-হানাদার মুক্ত। মুক্ত অঞ্চল হিসেবে তেঁতুলিয়া সব কর্মকান্ডের তীর্থ ভূমিতে পরিণত হয়। অস্থায়ী সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সভা তেঁতুলিয়াতেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১ নভেম্বর থেকে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় মিত্রবাহিনী যৌথভাবে পাকবাহিনীর উপর হামলা চালায়। ফলে প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা মুক্ত হতে থাকে। ২০ নভেম্বর অমরখানা, ২৫ নভেম্বর জগদলহাট, ২৬ নভেম্বর শিংপাড়া, ২৭ নভেম্বর পূর্ব তালমাসহ একইদিনে আটোয়ারী, মির্জাপুর, ধামোর শক্রমুক্ত করে রাতেই তারা পঞ্চগড় সিও অফিস ও ঘাটিয়ারপাড়া এলাকায় ফ্রন্টলাইন গড়ে তোলেন। ২৮ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে পাকবাহিনীর উপর ঝড়ো আক্রমণ শুরু করেন। আক্রমণে পঞ্চগড় শহরের পূর্বদিকে থাকা পাকবাহিনী টিকতে না পেরে টুনিরহাট দেবীগঞ্জ ভায়া ডোমার হয়ে কাঁচা রাস্তা ধরে সৈয়দপুরের দিকে পিছু হটতে থাকে। সেদিন রাতে মুক্তি, মিত্র, ট্যাঙ্ক ও পদাতিক বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণে পরাজিত হয়ে পাকবাহিনী পঞ্চগড়ের মাটি ছেড়ে চলে গেলে ২৯ নভেম্বর ভোরে পঞ্চগড় হানাদার মুক্ত হয়। এ দিনের যুদ্ধে ৪৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রায় শতাধিক মিত্রবাহিনীর সদস্য শহীদ হন।