নির্বাচনীপরবর্তী সহিংসতা

দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১৫

গত ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে লক্ষ্ণীপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন মৌসুমী সুলতানা এবং পরাজিত হন তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজী

প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
মাদারীপুরের কালকিনিতে ইউপি নির্বাচনী-পরবর্তী সহিংসতায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন ও ১০টি বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালকিনি উপজেলার লক্ষ্ণীপুর ইউনিয়নের মৃধারমোড় (নতুন বাজার গাবতলী) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কালকিনি উপজেলার লক্ষ্ণীপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন মৌসুমী সুলতানা এবং পরাজিত হন তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজী। নির্বাচনী বিরোধের জেরে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মৃধারমোড় এলাকায় গেন্দু কাজীর সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় মৌসুমী সুলতানার কর্মী ও সমথর্করা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয় এবং গেন্দু কাজীর কর্মী-সমর্থকদের ১০টি বসতঘর ভাঙচুর করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতাল ও শরিয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজী বলেন, চেয়ারম্যান মৌসুমী সুলতানার স্বামী ফজলুল বেপারীর নির্দেশে রাতের আঁধারে আমার কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে ও আমার বেশ কয়েকজন কর্মী- সমর্থক আহত হয়। বিজয়ী চেয়ারম্যান মৌসুমী সুলতানার স্বামী ফজলুল হক বলেন, এ মারামারি নির্বাচন নিয়ে হয়নি। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে। এতে আমার কোনো হাত নাই। এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইসতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।