ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালু সময়ের দাবি

প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, পাবনা
প্রায় ৮৫ বছর আগে পাবনার ঈশ্বরদী বিমানবন্দরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়েই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিমানবাহিনী এটি ব্যবহার করে। ১৯৯৬ সালে এটি বন্ধ হলেও ২০১৩ সালে এসে পুনরায় চালু হয়। ৬ মাসের অধিক সময় চলার পর আবার বন্ধ হয়ে যায়। পাবনাবাসীসহ আশপাশের মানুষ আশায় আছেন, বিমানবন্দরটি চালু এখন সময়ের দাবি। ইতোমধ্যে বিমানবন্দরটি চালুর বিষয়ে সরকার সংশ্লিষ্ট দপ্তর নড়েচড়ে বসছে। আকাশপথে যাতায়াতকারী ভুক্তভোগী মানুষের দাবি, দেশের বৃহৎ প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎ কেন্দ্র, ইপিজেড, পশ্চিমাঞ্চলের রেলওয়ের সদর দপ্তরসহ বেশকিছু সরকারি দপ্তরের প্রধান কেন্দ্র এই উপজেলাতে অবস্থিত। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের কর্মকর্তাদের যাতায়াত, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাতায়াতের সহজ করতে গণমানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালু করা। তাদের দাবি, বিমানবন্দরটি চালু করা হলে ভুক্তভোগীদের চাহিদা মেটার পাশাপাশি এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা আবার কর্মমুখী হতে পারবেন। সেই সঙ্গে সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়বে। বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নথি থেকে জানা যায়, পাবনার ঈশ্বরদী বিমানবন্দরটি ১৯৪০-১৯৪৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে স্থাপিত হয়। ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী বিমানবন্দরটি ব্যবহার করেছিল। স্বাধীনতার পর থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত নিয়মিত এ বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এরপর বন্ধ ঘোষণা করা হয় বিমানবন্দরটি। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ২০১৩ সালে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ঈশ্বরদী বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে। কিন্তু ছয়মাস ১১ দিন চালু থাকার পর ২০১৪ সালের ২৯ মে আবার বন্ধ হয়ে যায় এটি। গত সাত বছরে এ বিমানবন্দরে কোনো যাত্রীবাহী ফ্লাইট ওঠা-নামা করেনি। তবে মাঝে-মধ্যে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানগুলোকে এটি ব্যবহার করতে দেখা গেছে। সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেন, ঈশ্বরদী বিমান বন্দরটি চালুর জন্য বারবার বেবিচক'র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বেশ কয়েকবার ধর্ণা দিয়েছি। বিষয়টি মহান সংসদেও উপস্থাপন করেছি। সংশ্লিষ্টরা চালু করার আশ্বাস দেওয়ার পরও বিমানবন্দরটি চালু কেন হচ্ছে না বিষয়টি আমি বুঝতে পারছি না।