শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদারমুক্ত দিবস পালিত

স্বদেশ ডেস্ক
  ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

ডিসেম্বর বাঙালি জাতির গৌরবের মাস। স্বাধীনতার ৫১ বছর। ১৯৭১ সালের ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর অনেক জেলা-উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়। তাই বিভিন্ন স্থানে যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদের পরাজিত করে। এই দিবস পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা,র্ যালি, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে ডেস্ক রিপোর্ট-

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা): ৭ ডিসেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের উদ্যোগে বেলা ১১টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় হতে একটি র?্যালি বের করা হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা কমপেস্নক্সে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মইনউদ্দিন খন্দকার, উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদির ভূঞাসহ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতারা।

পরে কমপেস্নক্স হলরুমে সাংবাদিক সমরেন্দ্র বিশ্ব সর্মার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতি ইউএনও মইনদ্দিন খন্দকার বলেন, '১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবস, তেমনি ৭ ডিসেম্বর কেন্দুয়ার জন্যও বিজয় দিবস। কেন্দুয়ার হানাদারমুক্ত এই দিবসটি শুধু হলরুমে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। বাহিরে মঞ্চ করে বড় আয়োজনে এবং হানাদারমুক্ত নাটকসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করতে হবে। নতুন প্রজন্ম যেন জানতে পারে, ৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধটা আসলে কী? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কী?

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রেস ক্লাব সভাপতি আব্দুল কাদির ভূঞা, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বজলুর রহমান, ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল কুদ্দুস লালচান, এসআই ছামেদুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক জুনাঈদ আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস রানা, ইসতিয়াক আহমেদ শুভ্র প্রমুখ।

মাগুরা : ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার মাগুরা মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। ১৯৭১ এর ৭ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা ও যৌথ বাহিনীর যৌথ আক্রমনে মাগুরার বিভিন্ন ঘাটি থেকে পালিয়ে যায় পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসররা। এ উপলক্ষে সকালে শহরের নোমানী ময়দান শহীদ বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পরে শহরের আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক ডক্টর আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডক্টর শ্রী বীরেন শিকদার এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ফ. আব্দুল ফাত্তাহ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা পংকজ কুন্ডু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নাসির বাবলু, পৌর মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল প্রমুখ।

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) : ৬ ডিসেম্বর নেত্রকোনার দুর্গাপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে পথ পাঠাগারের আয়োজনে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে পৌর শহরের সুসং আদর্শ বিদ্যানিকেতন হলরুমে এই সভা ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পথ পাঠাগার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজমুল হুদা সারোয়ারের সভাপতিত্বে শিক্ষক শুভর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- উপজেলা চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, সুসং আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক এ কে এম ইয়াহিয়া প্রমুখ।

ইসলামপুর (জামালপুর) : ১৯৭১ সালের এদিন হাজার মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা আনন্দ উলস্নাসের মধ্য দিয়ে থানা চত্বরে জালাল কোম্পানির কমান্ডার প্রয়াত শাহ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন স্বাধীনতার প্রথম বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন। এই দিনটি ইসলামপুরবাসীর জন্য অত্যন্ত গৌরবের। মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত হোসেন স্বাধীনসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, যখন এই মাসের আগমণ ঘটে তখনই মনটা ফিরে যায় অতীতের সেই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে। বিশাল জনসমুদ্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কণ্ঠে ঘোষিত হয় বাঙালি জাতির বঞ্চনার ২৩ বছরের ইতিহাস। 'এবাবের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম'।

৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে থানা প্রশাসন রাজনৈতিক নেতারা মজির উদ্দিন আহমেদ, গণি সরদার, টুআইসি আলাউ উদ্দিন জোরদার, পস্ন্যাটুন কমান্ডার শাহাদত হোসেন স্বাধীন ও হাজার মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা আনন্দ উলস্নাসের মধ্যে দিয়ে থানা চত্বরে জালাল কোম্পানির কমান্ডার প্রয়াত শাহ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন স্বাধীনতার প্রথম বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন। সেই সঙ্গে ইসলামপুরের মাটি শত্রম্নমুক্ত হয়।

লোহাগড়া (নড়াইল) : আজ ৮ ডিসেম্বর। নড়াইলের লোহাগড়া থানা হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদের পরাজিত করে লোহাগড়াকে হানাদারমুক্ত করেন। থানা হানাদারমুক্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে জয় বাংলা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সমগ্র জনপদ। ৮ ডিসেম্বর সকালে লোহাগড়ার সর্বত্র স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়তে থাকে। লোহাগড়া হানাদারমুক্ত হওয়ার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে উলস্নসিত জনতা জয় বাংলা শ্লোগানে পথ-প্রান্তর প্রকম্পিত করে তোলেন।

লোহাগড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার আব্দুল হামিদ বলেন, লোহাগড়া হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে বুধবার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয় চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শোভাযাত্রা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর জিয়ারত, আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : আজ ৮ ডিসেম্বর। সরাইল হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের কালীকচ্ছ ইউনিয়নের 'ধর্মতীর্থ গণহত্যা দিবস'। ১৯৭১ সালে ধর্মতীর্থ এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, তাদের সহযোগী রাজাকার, আলবদরদের নিয়ে উপজেলার চুন্টা ও কালীকচ্ছ ইউনিয়নের শতাধিক নারী-পুরুষকে একত্রে নির্যাতন করে গণহত্যা করে। সরাইলের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসীম সাহসিকতায় ও মরণপণ লড়াই করে পাক হানাদর বাহিনী ও তাদের দোসরদের সঙ্গে শাহবাজপুর, কুন্ডা, বড়ইবাড়ি, শান্তিনগর, বেড়তলা ও দুর্গাপুরে লড়াই করে পাক হানাদার ও তাদের দোসরদের উৎখাত করতে সক্ষম হন। এ সময় ১৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং ১৭ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন।

এ উপলক্ষে সরাইল উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) : আজ ৮ ডিসেম্বর। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর মুক্ত দিবস। তৎকালীন দৌলতপুর থানায় পাক হানাদারদের সঙ্গে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ সংগঠিত হয় ৯ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত। সেখানে চারজন মুক্তিযোদ্ধা এবং দুইজন মিত্রবাহিনীর সদস্য শহীদ হন। এই যুদ্ধে প্রায় তিন শতাধিক পাকসেনা নিহত হয়। ৭ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে পাকসেনারা পালিয়ে কুষ্টিয়ার শহরতলী জগতি ও বটতৈল এলাকায় আশ্রয় নেয়। ১৯৭১-এর আজকের এইদিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দৌলতপুরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে দৌলতপুরকে শত্রম্নমুক্ত ঘোষণা করেন। দিবসটি উপলক্ষে দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

বরুড়া (কুমিলস্না) : কুমিলস্নার বরুড়ায় ৭ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু মু্যরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইউএনও আনিসুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন- উপজেলা চেয়ারম্যান এএনএম মইনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন- উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ, উপজেলা কৃষি অফিসার নজরুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার।

ভালুকা (ময়মনসিংহ) : ৮ ডিসেম্বর ভালুকা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে আফসার বাহিনীর আক্রমণে পাক ও রাজাকার বাহিনী ভালুকা ঘাঁটি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। ফলে এই দিনটিকে ভালুকার মুক্তিকামী জনতা মুক্ত দিবস হিসেবে উদযাপন করে আসছে। ৭১-এর ৭ ডিসেম্বর মধ্যরাতে আফসার বাহিনীর অধিনায়ক মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ভালুকা সদরে পাক ও রাজাকার বাহিনীর ঘাঁটির তিন দিক থেকে প্রচন্ড আক্রমণ শুরু করলে পাকসেনারা একপর্যায়ে ভালুকা ঘাঁটি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা ভালুকা থানা প্রাঙ্গণে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা খাতুন জানান, ভালুকা মুক্ত দিবসে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যৌথভাবে আট দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) : ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের প্রথম দিকে গৌরীপুর শহর ছাড়া সব এলাকা মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে চলে আসে। মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় পাকহানাদার বাহিনী ৭ ডিসেম্বর রাতে শহর ছেড়ে রেলযোগে গৌরীপুর থেকে পালিয়ে যায়। ওইদিন রাতেই মুক্তিযোদ্ধা কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধার কাছে গৌরীপুর থানায় অবস্থানরত পুলিশ ও রাজাকাররা আত্মসমর্পণ করে। এই খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে শহরের মুক্তিপাগল জনতা জয় বাংলা ধ্বনিতে গৌরীপুরের আকাশ মুখরিত করে তোলেন এবং প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়ে বরণ করে নেন বাংলার দুর্জয় সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার নাজিম উদ্দিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধে গৌরীপুরে যাদের উলেস্নখযোগ্য অবদান রয়েছে, তাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মরহুম হাতেম আলী মিয়া (এমসিএ), মরহুম ডা. এমএ সোবহান, মরহুম মো. খালেদুজ্জামান, যুদ্ধকালীন ১১ নম্বর সাবসেক্টর কমান্ডার মরহুম তোফাজ্জল হোসেন চন্নু ও মুজিব বাহিনীর কমান্ডার মরহুম মজিবুর রহমানের নাম অন্যতম। তিনি বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের যৌথ উদ্যোগে বিজয়র্ যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া-মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

কালকিনি (মাদারীপুর) : মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পাঁচজন কমান্ডারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা কালকিনি উপজেলার সিডিখান, এনায়েতনগর, সমিতিরহাট ছাড়াও পাশের বরিশাল জেলার গৌরনদী ও মুলাদী উপজেলা ও কালকিনির সীমান্তবর্তী তিনটি স্থানে মুখোমুখি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাস্ত করে ৮ ডিসেম্বর কালকিনি উপজেলা হানাদার মুক্ত করা হয়। কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েত নগর ইউনিয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কবি এবং সাহিত্যিক আকন মোশারফ হোসেন বলেন, বর্তমান মুক্তিযোদ্ধারা হয়ত আগামী ১০ বছর পর আর বেচে থাকবেন না। কিন্তু আগামী প্রজন্ম যাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে হারিয়ে না যায়, সেদিকে সরকার ও আমাদের সবার খেয়াল রাখতে হবে।

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) : আজ ৮ ডিসেম্বর। মির্জাগঞ্জ মুক্ত দিবস। ১৯৭১-এর এই দিন ভোর রাতে গ্রম্নপ কমান্ডার আলতাফ হায়দারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলা সদর সুবিদখালী প্রবেশ করেন। এদিকে মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলা শহরে প্রবেশ করার খবর পেয়ে পাকহানাদার বাহিনীর দোসর আলবদর, রাজাকার উপজেলা শহর থেকে অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায় এবং অনেকে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। ছাত্র-জনতার জয়বাংলা শ্লোগানে উপজেলা শহরসহ সর্বত্র মুখরিত হয়ে ওঠে।

৮ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধা ও সংগ্রামী ছাত্র-জনতার উপস্থিতিতে গ্রম্নপ কমান্ডার আলতাফ হায়দার সুবিদখালী রহমান ইস্‌হাক হাইস্কুল মাঠে উত্তোলন করেন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে