মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা সিএমএইচে কিডনি প্রতিস্থাপন কার্যক্রম সম্পন্ন

নতুনধারা
  ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

ঢাকা সিএমএইচে সোমবার একজন সেনাসদস্যের কিডনি প্রতিস্থাপন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। সেন্টার ফর কিডনি ডিজিস অ্যান্ড ইউরোলজি ঢাকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক কামরুল হাসানের তত্ত্বাবধানে সিএমএইচ ঢাকার নেফ্রোলজি ও ইউরোলজি বিভাগের সিনিয়র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল টিম এই কিডনি প্রতিস্থাপন কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। ভবিষ্যতে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

এই কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করেন- মহাপরিচালক, সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তর, কনসালট্যান্ট সার্জন জেনারেল, কনসালট্যান্ট ফিজিশিয়ান জেনারেল, কমান্ড্যান্ট সিএমএইচ ঢাকা, চিফ ফিজিশিয়ান জেনারেল এবং চিফ সার্জন জেনারেল।

উলেস্নখ্য, ১৯৮২ সালে দেশে প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপন সিএমএইচ, ঢাকায় শুরু হয় এবং এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ ডিসেম্বর অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স করপোরাল জহিরুল হকের কিডনি প্রতিস্থাপন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তার ফুফাত ভাই মো. আব্দুর রশিদ তাকে কিডনি দান করেন।

অন্তিম পর্যায়ে কিডনি রোগ (ঊহফ ঝঃধমব করফহবু উরংবধংব) একটি জটিল দুরারোগ্য এবং ব্যয়বহুল স্বাস্থ্য সমস্যা। এই রোগে নিয়মিত ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি প্রতিস্থাপন (করফহবু ঞৎধহংঢ়ষধহঃ) করে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা হয়। প্রতিবছর বাংলাদেশে নতুন করে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার এ ধরনের রোগী সংযুক্ত হচ্ছে এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতেও এই রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব রোগীর ৮০ শতাংশেরও বেশি যথাযথ চিকিৎসার অভাবে মৃতু্যবরণ করছেন। কিডনি প্রতিস্থাপনই হচ্ছে কিডনি অকেজো রোগীর সর্বত্তোম চিকিৎসা। বর্তমানে বাংলাদেশে মাত্র ৮টি সেন্টারের মাধ্যমে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়, যা বিপুলসংখ্যক রোগীর তুলনায় খুবই অপ্রতুল। এই পরিপ্রেক্ষিতে আপামর জনসাধারণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবাকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের দূরদর্শিতা ও সার্বিক সহযোগিতায় সিএমএইচ, ঢাকায় একটি কিডনি প্রতিস্থাপন সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আইএসপিআর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে