তঁাত পল্লীতে শীতের চাদর তৈরির ধূম

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

দুপচঁাচিয়া (বগুড়া) সংবাদদাতা
শীত মৌসুমকে ঘিরে উলের চাদর তৈরিতে খটখট শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে বগুড়ার দুুপচঁাচিয়ার তঁাত পল্লীগুলো। ভোর হতে শুরু করে রাত অবধি এ পেশার সঙ্গে জড়িতরা কেউবা সাধারণ তঁাত মেশিনে আবার কেউবা অটো পাওয়ার লুম মেশিনে এসব চাদর তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জানা যায়, উপজেলার ডাকাহার, বানিয়াদীঘি, তারাজুন, নওদাপাড়া, দেবখÐ, বড়চাপড়া, চান্দাইল, সাবলা সানাপাড়াসহ প্রায় ৯/১০ গ্রামে এসব চাদর তৈরি হয়। শীত মৌসুমে চাদরের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কারিগরদের ব্যস্ততাও বেড়ে যায়। এখানকার কারিগররা শীতকালে শুধু উলের চাদরই নয়, অন্য সময় গামছা তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে বাড়তি অথের্র মুখ দেখেন। উপজেলার ডাকাহার গ্রামের রুহুল আমিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার বাড়িতে পঁাচটি অটো পাওয়ারলুম মেশিনে বিভিন্ন ডিজাইনের চাদর তৈরি করছেন কারিগররা। এ প্রসঙ্গে রুহুল আমিন জানান, তিনিসহ দুইজন মিলে এ পঁাচটি মেশিনে চাদর তৈরি করেন তারা। কিন্তু পঁুজির অভাবে ব্যবসার প্রসার ঘটাতে পারছেন না। এনজিও বা ব্যাংক হতে ঋণ নিতে গেলে জামানতস্বরূপ জায়গার দলিলপত্র চায়। তাদের জমিজমা না থাকায় ঋণ নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনি জানান, স্বল্প সুদে সরকারিভাবে ঋণের ব্যবস্থা করা গেলে তঁাত শিল্পের প্রসার ঘটত। তিনি বলেন, শুধু পুরুষরাই নয়, নারীরাও এ পেশায় সমানভাবে কাজ করে থাকেন। নওদাপাড়ার আলমগীর হোসেন ও আজাহার আলী জানান, এ গ্রামের ৬০টি পরিবার এ পেশার সঙ্গে জড়িত। সঁাওইল বাজার হতে উলের সুতা ১৮০ টাকা ও রঙিন সুতা ৩০০ টাকা কেজি দরে কিনে এনে চাদর তৈরি করেন তারা। এক কেজি সুতায় ৩টি চাদর তৈরি হয়। প্রকার ভেদে প্রতিটি সাধারণ উলের চাদর ১০০ হতে ১২৫ টাকা ও ভালো মানের চাদর ১৬০ টাকা হতে ৪৫০ টাকা দরে পাইকারী বিক্রি করে থাকেন। তবে সুতার দাম যদি কম হতো এবং সরকার যদি সুলভে ঋণ দিত তাহলে তারা উপকৃত হতেন। এ বিষয়ে উপজেলা সমবায় কমর্কতার্ ফেরদৌস রহমান বলেন, তঁাত শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা সংগঠিত হয়ে সমিতি গঠন করলে সমবায় ব্যাংক হতে তারা যাতে ঋণ পায় তার ব্যবস্থা করা হবে।