বিলে অবাধে অতিথি পাখি শিকার

প্রকাশ | ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

সঁাথিয়া (পাবনা) সংবাদদাতা
পাবনার সঁাথিয়ায় গাজারিয়া বিলসহ বিভিন্ন বিলে রাতের অঁাধারে নিবির্চারে হত্যা করা হচ্ছে অতিথি পাখি। শীতের আগমনে এসব এলাকায় বিভিন্ন বিলে অতিথি পাখির আনাগোনা বেড়ে যায়। আর এ সুযোগে এক ধরনের উৎসুক মানুষ নিবির্চারে হত্যা করছে এসব পাখিকে। সরেজমিন উপজেলার করমজা ইউনিয়নের আফড়া গ্রামের গজারিয়া বিল ঘুরে দেখা যায় অতিথি পাখির আনাগোনা। মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্তের রসনা বিলাসের জন্য পাখি শিকারীরা এসব পাখি রাতের অঁাধারে মাছ মারা টেঁটা দিয়ে হত্যা করছে আর দিনের বেলায় এয়ারগানের পাশাপাশি জঁাতাকল, বিষটোপ, ঘুমের ওষুধ, দিয়ে কৌশলে পাখি শিকার করছে। জানা গেছে, এখানে প্রতি বছর উত্তরের শীত প্রধান অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে আসে নানা প্রজাতির পাখি। যেগুলো ‘অতিথি পাখি’ নামে পরিচিত। আবহাওয়া পরিবতর্ন, খাদ্যের সন্ধান ও প্রজননসহ নানা কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগমন ঘটে অতিথি পাখিদের। গিরিয়া হঁাস, ভূতি হঁাস, বক, ডাহুক, ডুবুড়ি, পানকৌড়িসহ অন্যান্য জলচর পাখি এখন ভিড় জমাচ্ছে গজারিয়া বিল ছাড়াও আশপাশের জলাশয়ে। খেঁাজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকার গজারিয়া বিল, কাটিয়াদহ বিল, মুক্তরের বিল, সেনাই বিল, বড় বিল, ছোট বিল, গাঙ ভাঙ্গার বিল, টেংড়াগাড়ীর বিল এবং পাশ্বর্বতীর্ গাজনার বিলেও চলছে অবাধে পাখি হত্যা। রাজশাহী পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিদশর্ক জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, একজন শিক্ষিত মানুষ শখের বসেই হত্যা করুক আর একজন অশিক্ষিত মানুষ অসচেতনতা বশত পাখি হত্যা করুক না কেন, পাখি হত্যা আইনত দÐনীয় অপরাধ। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ অনুযায়ী যদি কোনো ব্যক্তি পাখি হত্যা করেন তাহলে তার সবোর্চ্চ ১ বছরের কারাদÐ অথবা সবোর্চ্চ ১ লাখ টাকা অথর্দÐ অথবা উভয় দÐে দÐিত হওয়ার বিধান রয়েছে। এমনকি একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে সবোর্চ্চ ২ বছর কারাদÐ অথবা সবোর্চ্চ ২ লাখ টাকা অথর্দÐ বা উভয় দÐে দÐিত হবেন। যারা পাখি হত্যা করে তারা বিকৃত মনের মানুষ। পাখি পরিবেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এদিকে জনসচেনতার অভাব ও আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকায় এসব পাখি নিবির্চারে হত্যা হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা।