ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় অবৈধ খননযন্ত্রের সাহায্যে তিন ফসলি জমির মাটি কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার পৌর এলাকার গুরুহিত গ্রামে মাটি কাটা বন্ধে দ্রম্নত প্রতিকার চেয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেন গ্রামবাসী। অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সনজীব সরকার। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। এ সময় ক্ষতিগ্রস্তদের তিনি অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরমর্শ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গুরুহিত গ্রামের পশ্চিম দিকে চাষাবাদ যোগ্য তিন ফসলি জমির মালিকদের বেশি দামে জমি কেনার লোভ দেখিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে অবৈধ খনন যন্ত্রের মাধ্যমে মাটি কাটা অব্যাহত রেখেছে একটি মহল। খনন যন্ত্রের মাধ্যমে মাটি কাটার ফলে এলাকার তিন ফসলি জমিগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয় কৃষক ও সচেতন মানুষ মনে করছেন এই ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই এলাকার কৃষিজমি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই ভূমিখেকো ও মাটি ব্যবসায়ীদের বেপরোয়া দৌরাত্ম্যে কৃষিজমিতে ছোট ছোট জলাশয় ও গর্তে পরিণত হচ্ছে। স্থানীয় রাজনৈতিক অসাধু নেতাদের নাম ভাঙিয়ে চলা মাটি খেকোদের দাপটের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে কৃষক সমাজ। একটি জমি খাড়াভাবে কাটলে পাশের জমিটিও আপনা-আপনিই ভেঙে পড়ছে। ভয়ে কৃষক প্রতিবাদ না করে নীরবেই তাদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে মাটিখোকেদের নির্ধারিত মনগড়া দামে। এদের বিরুদ্ধে আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান এলাকাবাসী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
Copyright JaiJaiDin ©2022
Design and developed by Orangebd