সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ে তুলে প্রবাসী নারীকে বস্ন্যাকমেইল করার অপরাধে এক ব্যক্তিকে দুটি ধারায় পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইবু্যনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। ২০১৮ সালের ৯ নভেম্বর বগুড়া সদর থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। দন্ডিত আসামি এসএম হুমায়ুন কবীর রকি (৩০) ঢাকার মিরপুরের দক্ষিণ পাইকপাড়ার এসপি রোডের এসএম আজিজুল হকের ছেলে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদীর মেয়ে ও জামাতা ওমানে থাকেন। আসামি হুমায়ুনের সঙ্গে তার মেয়ের ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয়। সেই সুবাদে হুমায়ুন কৌশলে তার মেয়ের কিছু ছবি নেন। এরপর সেসব ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করেন। এক লাখ টাকা নেওয়ার পর আরও টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন হুমায়ুন। বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগীর মা থানায় মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি ধারায় আদালত আসামিকে তিন বছর সশ্রম কারাদন্ড ও তিন লাখ টাকা জরিমানা করেন। ওই আইনের আরেকটি ধারায় আদালত তাকে দুবছর সশ্রম কারাদন্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা করে।
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মানিকগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাইজুদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বড় ভাই মো. ছাহের উদ্দীনকে মৃতু্যদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একই মামলায় আরও দুই আসামি দলিল উদ্দীন ধুলু ও সেলিমকে এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। মামলার এজাহারভুক্ত বাকি ৬ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ উৎপল ভট্টাচার্য এ রায় দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১২ জুন জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল গ্রামে আপন ভাই ছাহের উদ্দিনের হাতে খুন হন কৃষক সাইজ উদ্দিন। এ ঘটনায় সাইজ উদ্দিনের ছেলে আশিম আলী তার চাচা ছাহের উদ্দিনসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
Copyright JaiJaiDin ©2022
Design and developed by Orangebd