হাওর অঞ্চলে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা
হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকদের ঘরে বষার্য় তাদের পালিত গরু-মহিষের খাদ্য যোগান সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অসহায় কৃষকেরা ফড়িয়া বেপারীদের নিকট পানির দামে গবাদি পশু বিক্রি করছে। এ উপজেলার উৎপাদনী জমির ৭০ থেকে ৮০ ভাগই একমাত্র বোরো ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে এবং ৮৫ ভাগ মানুষ এ বোরে উৎপাদনের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জীবিকা নিবার্হ করে। কৃষি উৎপাদনে বিজ্ঞান প্রযুক্তির ছেঁায়া লাগলেও এখনও আগের কৃষিব্যবস্থা বিরাজ করছে। ফলে গবাদি পশুই উৎপাদনের মূলশক্তি। এই উপজেলায় গরু-মহিষের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া না গেলে প্রত্যেক জোতদার মাঝারি ও ছোট কৃষক বগার্ ও প্রান্তিক চাষির ঘরেই গবাদি পশু রয়েছে। এ ছাড়াও দুগ্ধ উৎপাদনের জন্য এক শ্রেণীর কৃষক একাধিক গাভী লালন পালন করে থাকে। গত উৎপাদন মৌসুমে ধান কেটে ঘরে আনার সময়ে প্রতিনিয়ত বষর্ণ, ঝড়, হালকা বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট অচল হয়ে পড়ে। কৃষকেরা ধান কেটেও মাড়াই ও শুকাতে পারেনি। জমি কেটে ধানের অঁাটি বিভিন্ন স্থানে স্তূপাকারে রেখে দেয়। কখনো এক মাস, কখনো দেড় মাস, কারো কারো এর অধিক দিনে বৃষ্টির পানি পড়ে ধান ও খেড় পচে গলে নষ্ট হয়ে পড়ে। হাজার হাজার মণ ধান বিবণর্ হয়ে পড়ে এবং খেড় পচে গুটি গুটি আকার ধারণ করে। উপজেলার ৮০ থেকে ৯০ ভাগ কৃষকই তাদের গরু-মহিষের বষার্র খাদ্য উঠাতে পারেনি। একাধিক কৃষকের ভাষ্য মতে, এভাবে গবাদি পশু পালন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এই কৃষকেরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। অনেকেই চোখের পানি ছাড়তে ছাড়তে পানির দামে গবাদি পশু বিক্রি করেছেন। অথচ কয়েক মাস পর কৃষিকাজ শুরু হলে গবাদি পশুর প্রয়োজন হবে। সরজমিনে হাওর অষ্টগ্রাম উপজেলা ও পাশ্বর্বতীর্ উপজেলার হাট-বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে হাজার হাজার মহিষ, গরু প্রতি হাট-বাজারেই বিক্রি হচ্ছে।