বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আইসিইউ ও সিসিইউ সমৃদ্ধ অ্যাম্বুলেন্স এক বছর ধরে গ্যারেজ বন্দি

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল
আবেদুল হাফিজ, রংপুর
  ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

আইসিইউ ও সিসিইউ সমৃদ্ধ অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্সটি গত এক বছর ধরে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল গ্যারেজে বন্দি রয়েছে। দেওয়া হয়নি জনবল নিয়োগ। এটি এখন পর্যন্ত চালু না হওয়ায় সাধারণ হৃদ রোগে আক্রান্ত রোগীরা নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। এটি চালু করা এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।

রমেক হাসপাতা্যল সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ১৯ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্সটি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এটি পাঠানোর পর থেকে হাসপাতাল গ্যারেজে এখন পর্যন্ত পড়ে রয়েছে। চালকরা জানিয়েছেন, অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থানে মহড়া ও সাধারণ জনগণকে ধারণা দেওয়ার জন্য তা খুলে দেখানো হয়। যাতে সাধারণ মানুষ সুবিধা নিতে পারে। কিন্ত এখন পর্যন্ত চালু না হওয়ায় হাসপাতাল গ্যারেজে পড়ে আছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অ্যাম্বুলেন্সটিতে হৃদ বিভাগ, ইসিজি, সাকার ও লাইফ সাপোর্ট মেশিন রয়েছে। এতে আরও রয়েছে অস্ত্রোপচার থিয়েটার। ৮ ঘণ্টা পর পর ২৪ ঘণ্টা ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য এখনও সেখানে জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। জনবল থাকার কথা রয়েছে হৃদরোগ চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ড বয়। করা হয়নি মূল্য তালিকা। হয়নি কোনো নীতিমালা। জানিয়েছেন রমেক হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ছাইফুল ইসলাম।

হৃদরোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনিয়র স্টাফ নার্স কোহিনুর বেগম যায়যায়দিনকে জানান, অতিরিক্ত গরম ও শীতে হৃদরোগীরা হাসপাতালে বেশি আসে। এখন ৫০ শয্যার বিপরীতে দ্বিগুণের বেশি রোগী আসছে হাসপাতালে। উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রতি মাসে ৩ থেকে ৪ জন ঢাকায় যাচ্ছে হৃদরোগী।

রমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. শাকিল গফুর যায়যায়দিনকে জানান, তার হাসপাতালে আগে পেস মেকার বসানো, এনজিওগ্রাম ও রিং লাগানো হতো। এখন হয় না। এ জন্য অনেকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বল্প খরচে ঢাকা যেতে চায়। রংপুরের সাধারণ জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় অতিরিক্ত ব্যয় বহন করতে পারে না। এটি চালু হলে সাধারণ রোগীরা সুবিধা নিতে পারবে বলে তিনি মনে করেন।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম যায়যায়দিনকে জানান, অ্যাম্বুলেন্সটি চালু করতে জনবল নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দুই মাস আগে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এখনও সাড়া পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনো সাড়া না পওয়া গেলে হাসপাতালের চিকিৎসক দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করে অ্যাম্বুলেন্সটি চালু করার কথা ভাবছেন তিনি। মূল্য তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগের অ্যাম্বুলেন্সগুলো যেভাবে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সেভাবেই থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে