বোয়ালমারীতে করোনা আতঙ্কে বেড়েছে মাস্কের ব্যাপক চাহিদা

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
করোনাভাইরাস আতঙ্কে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মাস্কের ব্যবহার বেড়েছে। বেশ কয়েক মাস পরে আবার এ উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই মুহূর্তে উপজেলায় ছয় জন করোনা রোগী হোম আইসোলোশনে রয়েছেন। ভাইরাসজনিত রোগটি প্রতিরোধে স্কুল-কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও মাস্ক পরার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। বাড়ি থেকে বের হলেই বিভিন্ন বয়সের মেয়ে শিক্ষার্থীদের নিকট মাস্ক অপরিহার্য। গণপরিবহণের মতো জনাকীর্ণ পরিবেশে অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন। মাস্ক ব্যবহারে সরকারিভাবে কড়াকড়ি এবং উপজেলার সাধারণ মানুষের সচেতনতার জন্য এ উপজেলায় মাস্কের চাহিদা আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে গেছে। আর এ সুযোগে মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গ্রহণ করা হয়েছে 'নো-মাস্ক, নো-সার্ভিস' পদ্ধতি। মানুষকে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি পালনে বাধ্য করতে মাঠপর্যায়েও মাঝে মাঝে অভিযান চালাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাস্ক না পরলে করা হচ্ছে জরিমানাও। এ পরিস্থিতিতে ঘরের বাইরে বের হলে সঙ্গে মাস্ক রাখছেন সবাই। এতে বাজারে মাস্কের চাহিদা ও বিক্রি দুটোই বেড়ে গেছে। এ সুযোগে সব ধরনের মাস্কের দাম আগের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এখন ওয়ানটাইম মাস্ক বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস দশ টাকায়। কিছুদিন আগেও এগুলো বিক্রি হতো পাঁচ টাকায়। চায়না মাস্কের দাম কয়েকদিন আগে ছিল ত্রিশ টাকা পিস। তা এখন ষাট টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাপড়ের মাস্ক ত্রিশ, শৌখিন মাস্ক ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পৌরসভার বাসিন্দা এবং স্কুল শিক্ষক নাজমুল হক বলেন, নিয়মিত মাস্ক পরার অভ্যাস হয়ে গেছে। তবে দাম আগের তুলনায় একটু বেড়েছে।