ধানের বাজার মন্দা, লোকশানে কৃষক

প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

কালাই (জয়পুরহাট) সংবাদদাতা
কালাইয়ের হাতিয়রের মোড়ের আড়তে অবিক্রিত ধানের স্তূপ Ñযাযাদি
জয়পুরহাটের কালাইয়ে ধানের বাজার মন্দা হওয়ায় লোকশানের মুখে পড়েছেন কৃষকরা। উৎপাদিত ধান বিক্রি করে তারা ধারদেনা এবং ব্যাংক ও এনজিওর ঋণ শোধ করতে পারছেন না। সেই সঙ্গে না পারছেন আলু, সরিষা ও গম চাষাবাদ শুরু করতে। সরকারের কাছে তারা ধানের ন্যায্য মূল্য দাবি করেছেন। আড়তদাররা ও চাতাল ব্যবসায়ীরা জানান, চাল কেনার জন্য সরকারি বরাদ্দ বা দর ঘোষণা না দেয়ায় লোকশানের ভয়ে তারা বেশি দরে ধান কিনছেন না। এর প্রভাবেই বাজারে ধানের দাম কমেছে। উপজেলার খোসালপুর নওপাড়ার আদশর্ কৃষক আব্দুর রশীদ, হারুঞ্জার আলম ও থুপসাড়ার আব্দুল জলিল সরকার জানান, বাজারে আমন ধানের দাম কম হওয়ায় তাদের উৎপাদন খরচ উঠছে না। গতবারে আমন মৌসুমে প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়। সেই ধানই এবার বিক্রি হচ্ছে ৬৩০-৬৫০ টাকায়। তাও নগদে নয়, বাকিতে। ধান বিক্রির টাকা আদায়ের জন্য মহাজনদের কাছে প্রতিদিন ধণার্ দিতে হচ্ছে। হাতিয়র মোড়ের আড়তদার এনামুল জানান, তিন দিন আগে তিনি ৬৬০-৬৭০ টাকা দরে তিন হাজার মণ ধান কিনেছেন, যা এখনো অবিক্রিত আছে। বতর্মানে প্রতিমণ ধান কিনেছেন ৬৪৫ টাকা দরে। এ ছাড়াও মণপ্রতি ধানে খাজনা, লেবার ও কমর্চারীসহ অন্যান্য খরচ গুণতে হবে আরও অন্তত ২০-৩০ টাকা। এ অবস্থায় তাকে মোটা অংকের লোকশান গুণতে হবে। দুরঞ্জ মোড়ের আড়তদার আব্দুস সালাম জানান, ধানের দাম অব্যাহতভাবে কমতেই আছে। দুদিনে ৬৪০-৬৫০ টাকা মণ দরে দেড় হাজার মণ ধান কিনে তার সব খরচ বাদ দিয়ে ৪০ হাজার টাকা লোকশান হয়েছে। সরকার ধানের দর ঘোষণা না করায় এর কারণ বলেও তিনি জানান। উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন তালুকদার জানান, উপজেলার চালকল ও অটো-হাস্কিং মিল মালিকদের গুদামে ধানের পযার্প্ত মজুত আছে। তা ছাড়া গতবারের তুলনায় এবার ধানের বরাদ্দও কম। অধিকন্তু সরকার ধান চালের দর বেঁধে না দেয়ায় এর প্রভাব ধানের বাজারে পড়েছে। কালাই খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্ শফিকুল আলম জানান, সরকারিভাবে চাল কেনার সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি।