বন্ধের পথে বাংলাদেশ জুট মিল

প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

পলাশ (নরসিংদী) সংবাদদাতা
পাট সংকট
বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) নিয়ন্ত্রণাধীন নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল শিল্প এলাকার স্বনামধন্য বাংলাদেশ জুট মিলটি পাট সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে। ইতোমধ্যে পাট সংকটের কারণে মিলের উৎপাদন ৪৫ টন থেকে নেমে ১০ টনে চলে এসেছে। বন্ধ রয়েছে মিলের অধিকাংশ তঁাত মেশিন। এতে মিলের প্রায় সাড়ে চার হাজার শ্রমিক-কমর্চারী ও কমর্কতার্র মাঝে মিল বন্ধের আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানা গেছে, বাংলাদেশ জুট মিলের পণ্য বিক্রি করে থাকে বিজেএমসি। উৎপাদিত পণ্য বিক্রি বাবদ বিজেএমসির কাছে ৯৩ কোটি টাকা পায় বাংলাদেশ জুট মিল। কিন্তু বিজেএমসি সময়মতো টাকা না দেয়ার কারণে ৫ সপ্তাহ ধরে শ্রমিকদের বেতন বন্ধ। পাট কিনতে ও শ্রমিকদের বেতন-ভাতাদি দিতে পারছে না মিল কতৃর্পক্ষ। মিলের তঁাত শ্রমিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগে তারা সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা মজুরি পেতেন কিন্তু তারা সপ্তাহে এখন মাত্র ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা মজুরি পান। কিন্তু অথর্ সংকটের কারণে একাধিক সপ্তাহের মজুরি বকেয়া থাকায় আথির্ক কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। মিলের সিবিএ সভাপতি ইউসুফ আলী ও সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান জানান, ৫২০ তঁাতের এই জুট মিলটিতে প্রায় চার হাজার শ্রমিক-কমর্চারী কমর্রত আছেন। ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পযর্ন্ত গত ৬ বছর ধরে মিলের চাকরিচ্যুত শ্রমিক-কমর্চারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচ্যুইটির টাকাও দিতে পারছেন না মিল কতৃর্পক্ষ। এ পযর্ন্ত মিলে প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচ্যুইটির প্রায় ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ জুট মিলের কাছে পাট ব্যবসায়ীরা ২৮ কোটি টাকা পাওনা থাকায় এখন পাট ও সরবরাহ করছে না ব্যবসায়ীরা। মাঝে মধ্যে এক ট্রাক করে পাট এনে কোনো রকমে উৎপাদন চালু রেখেছে বলে জানান মিল কতৃর্পক্ষ। এদিকে মিলটির উৎপাদন বিভাগ থেকে জানা যায়, মিলের উৎপাদিত প্রায় ৩৫ কোটি টাকার পাটজাত পণ্য মজুদ রয়েছে। এসব পণ্য সময়মতো বিক্রি করতে না পারায় আথির্ক সংকটে পড়েছে মিল কতৃর্পক্ষ। এসব বিষয়ে বাংলাদেশ জুট মিলের মহাব্যবস্থাপক এস এম শফির সঙ্গে কথা বললে তিনি বিজেএমসির অনুমতি ব্যতীত কথা বলতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেন।