রসে টইটম্বুর গাছ পাকা আনারস

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

মো. নজরুল ইসলাম, মধুপুর
টাঙ্গাইলের মধুপুরের বিখ্যাত জলছত্র আনারসের হাট Ñযাযাদি
গরমে কদর বেড়েছে মধুপুরের রসাল আনারসের। পুরো মধুপুরজুড়েই আনারসের প্রচুর চাষ হয়। মধুপুরের অরণখোলা, শোলাকুঁড়ি, আউশনাড়া ইউনিয়নে আনারসের সবচেয়ে বেশি চাষ হয়। এসব এলাকায় চাষ হওয়া আনারসের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় আনারস হলো জলডুগি। এ ছাড়া বতর্মান সময়ে জায়ান্টকিউ আনারস চাষেও ঝুঁকেছেন এ এলাকার চাষিরা। চলতি বছর মধুপুরে সাড়ে সাত হাজার হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে। আনারসের বাগান দেখার আগে দেখতে হবে আনারসের হাট। এ এলাকার সবচেয়ে বড় হাটের নাম জলছত্র। ভরা মৌসুমে এ হাট ২৫ মাইলের মোড় থেকে অন্যদিকে পুলিশ ফঁাড়ি পযর্ন্ত গিয়ে পেঁৗছে। সাতসকালেই সরগরম হয়ে যায় মধুপুরের আনারসের হাট যা জলছত্র হাট নামে পরিচিত। প্রত্যুষে হাটুরের দল হাজির হয়ে যায় জলছত্র বাজারে। কেউ বাইসাইকেলে ঝুলিয়ে, কেউ ঘোড়ার গাড়িতে, কেউ পিকআপ ভ্যানে করে ঠেলেঠুলে নিয়ে আসছে আনারস। ২৫ মাইল থেকে সাইকেলে করে আসছে ভ্যানবোঝাই আনারস, অরণখোলার দিক থেকে ঘোড়ার গাড়ি করে আসছে আনারস। শোলাকুঁড়ি থেকে সাইকেলের দুই পাশে আনারস ঝুলিয়ে নিয়ে আসছে। দূর-দূরান্ত থেকে জড়ো হওয়া পাইকাররা দুই পা চালিয়ে রাস্তার মুখে ঘিরে ধরছে বিক্রেতাদের। যদি কম দামে সবার আগেই কিনে ফেলা যায়, সে আশায়। শালবনঘেঁষে দূর-দূরান্তের গ্রামের বাগান থেকে হাটুরের দল ঘোড়ারগাড়ি ও রিকশা-ভ্যানে ‘রসে টইটম্বুর গাছপাকা’ আনারস নিয়ে ঝড়ো হয় জলছত্রের হাটে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতা আসে আনারস কিনতে। সকাল ৮টা নাগাদ কানায় কানায় পূণর্ হাট। এখানে-ওখানে স্ত‚প করে রাখা আনারস। দূরের পাইকাররা কিনছে আর পিকআপে বোঝাই করে নিয়ে চলে যাচ্ছে। প্রাকৃতিকভাবে আষাঢ়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শ্রাবণের শেষান্তে আনারস পাকার মৌসুম। তবে সারা বছরই অল্প-স্বল্প আনারস বাজারে পাওয়া যায়। গারোবাজার, মধুপুর বাজার ও ২৫ মাইল বাজারে আনারসের বেচাকেনা হলেও জলছত্র বাজারের পাশঘেঁষে ঢাকা মহাসড়কের দুই পাশে বসে আনারসের সবচেয়ে বড় হাট।