অস্তিত্ব সংকটে ধলেশ্বরী, বিপাকে হাওরের জেলে ও কৃষক

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

ম অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের হাওর অধু্যষিত উপজেলা অষ্টগ্রামের এক সময়ে উন্মক্ত স্রোতবহ ধলেশ্বরী নদী ভরাট হয়ে অসংখ্য চর পড়ে বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। যেমন নেই নদীর উন্মুক্ততা, তেমনি নেই পানি। বর্তমানে নদীর পরির্বতে ধান চাষাবাদ করলেও এই বিষয়ে নির্বিকার রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়াও এর ফলে একদিকে নদীর তীরবর্তী জেলেরা যারা এক সময় এই উন্মুক্ত নদী থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন তারা এখন পাড় করছেন চরম দুর্দিন। অন্যদিকে পানির অভাবে প্রতি বছরই কয়েকশ হেক্টর বোরো জমি অনাবাদি থাকে। জানা যায়, এক সময়ের উন্মক্ত এই ধলেশ্বরী নদীটি ভরাটের ফলে মাঝেমধ্যে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী নৌকাও আটকা পড়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। অতীতে গভীর এ নদীর বড় বড় বেশ কয়েকটি হাওরে সেচের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করে প্রচুর পরিমাণ ধান উৎপাদন করতেন স্থানীয় কৃষক। সরকারিভাবেও আদায় হতো বিপুল পরিমানের রাজস্ব। এই নদী দিয়ে অষ্টগ্রাম থেকে ভৈরব বাজার, কুলিারচর যাত্রী লঞ্চসহ অগনিত যন্ত্রচালিত নৌকা, কার্গো ইত্যাদি চলাচল করত। এছাড়াও ভৈরব বাজার, আশুগঞ্জ ইত্যাদি নদী বন্দরে পণ্য সরবরাহ করা হতো। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে পলি পড়ে ধলেশ্বরীতে মাটি ভরাট হয়ে নাব্য হ্রাস পেতে থাকে। বর্তমানে অষ্টগ্রামের ভাটিরনগরের উত্তরে মেঘনা ও ধলেশ্বরীর সংযোগস্থল জেগে ওঠা চর হুমায়ুনপুর, কাস্তুলের মসদিজাম পাশ দিয়ে সর্বশেষ অষ্টগ্রাম সদরের পূর্ব দিকে ইকুরদিয়া পযন্ত প্রায় সম্পূর্ণ ভরাট হওয়ায় নদীর সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। নদীতে কিছু মানুষ চাষাবাদ করলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো রকম নজরদারি চোখে পড়ে না বলে এলাকাবাসী জানায়। এ বিষয়ে অষ্টগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জেমস্‌ বলেন, এক সময়ে স্রোতবহ এই ধলেশ্বরী নদীটি দ্রত খননের প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কাযক্রম দেখা যাচ্ছে না। এই বিষয়ে কিশোরগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউর রহমান জানান, নদীটি একটি প্রকল্পের মাধ্যমে শিগগিরই খনন করা হবে।