ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের আলো ক্লিনিক পরিদর্শন

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) সিএসই ডিপার্টমেন্টের হেল্‌থ ইনফরমেটিকস এবং টেলিমেডিসিন কোর্সের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা মিরপুরের দুয়ারী পাড়ার আলো ক্লিনিকটি পরিদর্শন করেছেন। বুধবার কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. খন্দকার আবদুলস্নাহ আল মামুন তার স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদেরকে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা জিপি মডেল এবং স্মার্ট স্বাস্থ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ধারণা দেওয়ার জন্য এই ফিল্ড ভিজিটের আয়োজন করেন। উলেস্নখ্য, অধ্যাপক ড. খন্দকার আবদুলস্নাহ আল মামুন তার বিশ্ববিদ্যালয়ে এইমস ল্যাবের পরিচালক, যেখানে স্মার্ট স্বাস্থ্যসহ নানা বিষয়ে গবেষণা করা হয়। ইতোমধ্যে এই ল্যাবের কার্যক্রম জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত এবং দেশের প্রথম গবেষণালব্ধ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সিমেড হেল্‌থও এই ল্যাব থেকে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। শহরের দরিদ্র এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগণের ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার কথাকে মাথায় রেখে মডেল আরবান পিএইচসি প্রজেক্টের আওতায় আলো ক্লিনিক চালু করা হয় ঢাকা এবং তার আশপাশের মোট ছয়টি জায়গায়। এই ক্লিনিকগুলোতে দরিদ্র এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগণকে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা এবং রেফারেল ব্যবস্থার মাধ্যমে প্যারামেডিক এবং চিকিৎসকগণ স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে। চিকিৎসকগণ ক্লিনিকে আসা প্রত্যেকেরই একটি করে ডিজিটাল হেল্‌থ একাউন্ট তৈরি করে এবং একই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন স্মার্ট মেডিকেল ডিভাইস দিয়ে স্বাস্থ্য পরিমাপ করে জিপি চিকিৎসকের কাছে রেফার করে। জিপি চিকিৎসক রোগীকে ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন প্রদান করে থাকেন। এছাড়াও ৩ ধরনের (মেডিসিন, শিশুরোগ এবং স্ত্রীরোগ) কনসালট্যান্ট চিকিৎসক আলো ক্লিনিকে সেবা প্রদান করে থাকেন। জিপি চিকিৎসক ও কনসালট্যান্ট চিকিৎসক যদি কোনো রোগীকে পরীক্ষা দেয় তাহলে আলোর ক্লিনিকের স্মার্ট ল্যাব টেকনোলজিস্টরা ডিজিটালভাবে পরীক্ষা করে তাদের অ্যাপের মাধ্যমে রেজাল্ট ইনপুট দিয়ে থাকেন। আলো ক্লিনিকে কোনো ধরনের কাগজের ব্যবহার হয় না, সম্পূর্ণ কার্যক্রম পরিচালিত হয় অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। যা বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। সিমেড হেল্‌থ এই ডিজিটাল পস্ন্যাটফর্মটি তৈরি এবং পিএইচডি ও নারী মৈত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ইউনিসেফের অর্থায়নে এই আলো ক্লিনিক পরিচালনা করছে। ডিজিটাল হেল্‌থ একাউন্ট, প্রাথমিক ও প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা এবং রেফারেল সার্ভিস ব্যবস্থার মাধ্যমে জিপি চিকিৎসকের স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। এই মডেলটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করবে। ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'এরকম মডেল বাস্তবায়ন হচ্ছে দেখে আমি খুবই আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। আমি এই রকম ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও কাজ করতে চাই।' অধ্যাপক ড. খন্দকার আবদুলস্নাহ আল মামুন বলেন, 'প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা উলেস্নখযোগ্যভাবে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং স্বাস্থ্য ব্যয় হ্রাস করে। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি নগরে ডিজিটাল জিপি মডেল সফলভাবে বাস্তবায়ন এবং ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য এলাকায় সম্প্রসারণ করার ব্যাপারেও অত্যন্ত ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছি।' বিজ্ঞপ্তি