রাজবাড়ীর চারটি সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) সংবাদদাতা:
গোয়ালন্দ উপজেলার দুটি ও রাজবাড়ী সদর উপজেলার দুটি মিলে জেলার চারটি সরকারি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ে দীঘির্দন ধরে শিক্ষক সংকট রয়েছে। অধেের্কর চেয়ে কম শিক্ষক নিয়ে প্রতিটি স্কুলের শিক্ষা কাযর্ক্রম চালাতে হচ্ছে। যে কারণে বছর শেষ হলেও সিলেবাস শেষ করতে পারছে না শিক্ষাথীর্রা। সিলেবাস শেষ করার জন্য স্কুলের বাইরে কোচিং ও প্রাইভেট পড়তে হচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, পঁাচটি উপজেলা নিয়ে রাজবাড়ী জেলা গঠিত। জেলার পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলায় কোনো সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় নেই। যে কারণে ভালো শিক্ষা অজর্ন করার জন্য সরকারি স্কুলগুলোতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেই ভতির্ হতে হয় জেলার শিক্ষাথীের্দর। তবে সরকারি প্রতিটি স্কুলে অধেের্কর চেয়ে কম শিক্ষক থাকায় পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটছে। গোয়ালন্দ নাজিরউদ্দিন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ অধেের্কর বেশি পদ শূন্য রয়েছে। দীঘির্দন যাবত এসব স্কুলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং অধেের্কর কম শিক্ষক দিয়ে স্কুল চালানো হচ্ছে। রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও গোয়ালন্দ শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক থাকলেও অধেের্কর কম শিক্ষক দিয়ে স্কুল চালাতে হচ্ছে। যে কারণে ভালো রেজাল্ট থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রাজবাড়ী জেলার ছাত্রছাত্রীরা। গোয়ালন্দ নাজিরউদ্দিন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ পদ রয়েছে ১৪ জনের। কিন্তু কমর্রত রয়েছেন মাত্র ৫ জন। গোয়ালন্দ শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ প্রয়োজন রয়েছে ১৪ জন। কিন্তু এই স্কুলে কমর্রত রয়েছেন ৫ জন। রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ প্রয়োজন রয়েছে ৫২ জন। কিন্তু কমর্রত রয়েছে মাত্র ২৬ জন। রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক প্রয়োজন ৫২জন। কিন্ত কমর্রত রয়েছেন ২৬জন। শিক্ষাথীর্রা জানান, তারা অনেক আশা নিয়ে সরকারি স্কুলে ভতির্ হয়। যাতে একটু ভালো পড়ালেখা করে একটা বড় জায়গায় যেতে পারে। কিন্তু শিক্ষক স্বল্পতার কারণে পড়ালেখার মান দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এদিকে রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেহেনা পারভীন, গোয়ালন্দ নাজির উদ্দিন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম এবং গোয়ালন্দ শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রঞ্জন কুমার বিশ্বাস জানান, শিক্ষক সংকট থাকায় পুরা টিচিং ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। যে কারণে আমরা সিলেবাস শেষ করতে পারি না। বাচ্চাদের চাহিদা অনুযায়ী মেধা বিকাশের সেসব সুযোগ আমরা দিতে পারছি না।  বিষয়টি বহুবার ঊধ্বর্তন কতৃর্পক্ষকে জানিয়েও সংকট সমাধান হচ্ছে না। শিক্ষকসংকটের কারণে শিক্ষাথীর্রা মানসম্মত শিক্ষা পাচ্ছে না। এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদুর রহমান জানান, এর আগে ২ বছর মেয়াদি সেকায়েপ প্রকল্প থেকে স্কুলগুলোতে গণিত, বিজ্ঞান ও ইংরেজি বিষয়ের ৩ জন করে শিক্ষক দেয়া হয়েছিল। তাতে অনেক উপকার হচ্ছিল। গত ডিসেম্বরে সে প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়াতে সমস্যা আরও বেড়েছে। এদিকে রাজবাড়ী জেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান জানান, শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি এ সংকট কেটে যাবে।