এক মাসেও আলোর মুখ দেখেনি তদন্ত প্রতিবেদন

নাটোর জেলা পরিষদের জমি বরাদ্দে অনিয়ম

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

নাটোর প্রতিনিধি
বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নাটোরের মোকরামপুরে জেলা পরিষদের লিজ দেওয়া জমির অনিয়ম তদন্তে জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী শাহ মো. আশিবকে প্রধান করে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন হয়। কিন্তু এক মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও আলোর মুখ দেখেনি তদন্ত প্রতিবেদন। এরই মধ্য অবৈধ লিজ গ্রহীতারা বহাল তবিয়তে পাকা-কঁাচা দোকানঘর তৈরি করে তা থেকে মাসিক ভাড়া নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, জেলা পরিষদের মালিকানাধীন সদর উপজেলার মোকরামপুর এলাকায় জেলা পরিষদের ৫৭ শতক আয়তনের একটি পুকুরের লিজ প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরবতীের্ত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় ওই মৌজার ২নং খতিয়ানের ৫৮নং দাগের ২২ শতক ভ‚-সম্পত্তি জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলী আকবর তথ্য গোপন করে তার মেয়ের জামাই তারিক হাসান ও জামাইয়ের ভাই মেহেদী হাসানের নামে লিজ নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, সেই পুকুরে মাটি ফেলে ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা নিমার্ণ করে সাব-লিজ দিয়ে অথর্ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও ওঠে। যা নিয়ম (সরকারি প্রজ্ঞাপন/ রাষ্ট্রপতির আদেশ) বহিভ‚র্ত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ মে জেলা পরিষদের মাসিক সভায় জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী শাহ মো. আশিবকে আহŸায়ক করে, জেলা পরিষদের ২নং প্যানেল চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মানসী ভট্টাচাযর্, সানাউল্লাহ আল আজাদ, আবু বক্কর সিদ্দিক, রইস উদ্দিন রুবেলকে নিয়ে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে পরবতীর্ মাসের মাসিক সভায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ হয়। কিন্তু এক মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও এখনো সেই তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি। এরই মাঝে ওই লিজকৃত ভ‚মির ওপর অবৈধ লিজ গ্রহীতারা তৈরি করেছেন পাকা-কঁাচা দোকানঘর। তা থেকে নিয়মিত-ই চলছে ভাড়া আদায়। এ বিষয়ে লিজ গ্রহীতা মেহেদী হাসানের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। এদিকে তদন্ত কমিটির আহŸায়ক জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী শাহ মো. আশিব বলেন, নানা ব্যস্ততা থাকায় এখনো তদন্ত কাযর্ক্রম এখনো শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে দ্রæত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ব্যাপরে জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন জানান, তদন্ত রিপোটর্ পেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।