পঞ্চম শ্রেণিতেই ঝরে পড়ছে ৩৭ শতাংশ শিক্ষাথীর্

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

কাউনিয়া (রংপুর) সংবাদদাতা
রংপুরের কাউনিয়ায় পঞ্চম শ্রেণি পার হওয়ার আগেই শতকরা ৩৭ দশমিক ১৪ ভাগ শিক্ষাথীর্ ঝরে পড়ছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও ৮টি কেন্দ্রের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, উপজেলায় ২০১৮ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে ১১৪টি সরকারি প্রাথমিক স্কুল ও ৩৯টি কিন্ডারগাটেের্ন ৬৭০৭ সেট এবং ১৭টি মাদ্রাসা সংযুক্ত ও ১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় ৭৭০ সেট বই বিতরণ করা হয়েছে। আর এসব প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি পরীক্ষার পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু রোববার শুরু হওয়া পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষায় শিক্ষাথীর্ উপস্থিতির হিসেব অনুযায়ী প্রাথমিক পযাের্য় ৪২৮২ জন ও ইবতেদায়ি পযাের্য় ৪১৮ জন পরীক্ষাথীর্ অংশগ্রহণ করছেন। বই বিতরণ ও পরীক্ষাথীর্র অংশগ্রহণের হিসাব অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগাটের্ন পযাের্য় পঞ্চম শ্রেণিতে ২৪২৫ জন ও মাদ্রাসা পযাের্য় ৩৫২ জন মোট ২৭৭৭ জন শিক্ষাথীর্ ঝরে পড়েছে। এদিকে প্রাথমিক পযার্য় না পেরুতে শিক্ষাথীর্রা ঝরে পড়ার ঘটনায় সচেতন সমাজ ও শিক্ষাবিদরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাকিরুল হাসান জানান, প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পড়ার জন্য ২ সেট ও ইউআরসিতে ৩০ সেট বই দেয়া হয়েছে এবং বাকি বই শিক্ষাথীের্দর বিতরণ করা হয়। অনেক বিদ্যালয়ে ৪-৫ সেট বই উদ্বৃত্ত রয়েছে। তবে বই বিতরণের সঙ্গে শিক্ষাথীর্র সংখ্যার মিল না হওয়ার বিষয়ে অন্যান্য কারণ রয়েছে। এদিকে না করার শতের্ একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা জানান, রেজিস্ট্রারবিহীন একাধিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাথীর্ ভতির্ করার অনুমোদন পেয়ে তারা পঞ্চম শ্রেণির বই উত্তোলন করেছে ৩০ থেকে ৬০ সেট করে। অথচ ওইসব বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে ৪-৫ জনের ওপরে কোনো শিক্ষাথীর্ নাই। বই বিতরণ অনুযায়ী পঞ্চম শ্রেণিতে ডিআরভুক্ত শিক্ষাথীর্র সংখ্যার মিল নেই। এ কারণে ঝরে পড়া শিক্ষাথীর্র সংখ্যা বেশি।