পাবর্তীপুর সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার সংকট

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

পাবর্তীপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা
দিনাজপুরের পাবর্তীপুর উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার সংকটের কারণে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সেখানে ৩৪ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও প্রায় ৪ লাখ মানুষের চিকিৎসার জন্য রয়েছে মাত্র একজন ডাক্তার। সবের্শষ কমর্রত দুই ডাক্তারের মধ্যে দুই মাস আগে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রায়হান আলী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি হন। গত ৭ নভেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমর্কতার্ ডা. শহীদুজ্জামান বদলি হয়ে রংপুর ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (আইএসটি) সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করলে ডাক্তারের সংখ্যা দঁাড়ায় একে। এছাড়া আমবাড়ী উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ডা. রেবেকা রাজ্জাক ২০১২ সাল থেকে কমর্স্থলে অনুপস্থিত আছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলছে। ২০১৫ সালে জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অথোর্-সাজাির্র বিভাগ), ইএনটি বিভাগের কনসালট্যান্ট, চমর্ ও যৌন রোগ বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট, ২০১৬ সালে প্যাথলজিস্ট ডা. আসমা হক, ডেন্টাল সাজর্ন ডা. আতিয়া হাসিন, ২০১৭ সালে জরুরি বিভাগের ডা. আশরাফি আহম্মেদ, মেডিকেল অফিসার ডা. নাসরিন জাহান, শিশু বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট এখান থেকে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। এভাবে একের পর এক বদলির কারণে পাবর্তীপুরের একমাত্র সরকারি হাসপাতালটি বতর্মানে ডাক্তারশূন্য হয়ে পড়েছে। হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন বিভাগের তৃতীয় ও ৪থর্ শ্রেণির গুরুত্বপূণর্ চিকিৎসা সহকারীর ১৪৩টি পদ দীঘির্দন ধরে শূন্য পড়ে থাকায় সাবির্ক চিকিৎসা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। এদিকে, প্রতিদিন গড়ে ১৫০-২০০ রোগী হাসপাতালের বহিবির্ভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। ডাক্তার সংকটে বন্ধ অপারেশন থিয়েটার। কয়েক বছর ধরে বিকল একমাত্র এক্সরে মেশিন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী নাজমুন নাহার বলেন, আমরা গরিব মানুষ। চিকিৎসার জন্য অন্য কোথাও যেতে পারি না বলে এখানে আসি। কিন্তু ডাক্তারের অভাবে আমরা চিকিৎসাসেবা পাচ্ছি না। এ সম্পকের্ জানতে চাইলে দিনাজপুরের সিভিল সাজর্ন ডা. আব্দুল কুদ্দুস বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, দিনাজপুরের সব উপজেলা হাসপাতালে ডাক্তারের সংকট রয়েছে। কোথাও দুই-তিনজনের বেশি ডাক্তার নেই। এসব বিষয নিয়ে ঊধ্বর্তন কতৃর্পক্ষের কাছে একাধিকবার চিঠিপত্র দেয়া হয়েছে। আশা করি শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।