চকরিয়ায় বিকল্প পা দিয়ে নতুন জীবন শুরু সাত প্রতিবন্ধীর

দৈন্য-কষ্টের জীবন এখন আনন্দ উপভোগের

প্রকাশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
সাদিয়া কাশেম টুম্পাকে এখন আর এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে যেতে হবে না। এখন থেকে টুম্পা অন্যসব শিক্ষার্থীর মতো স্বাভাবিকভাবে দুই পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতে পারবে। শুধু টুম্পাই নয়, কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালীতে এ রকম বিকল্প পা পেয়ে নতুন জীবন শুরু করেছেন সাত প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাদের কাছে বিকল্প পা যেন আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো। প্রতিবন্ধী টুম্পা বলেছেন, এক পা দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে যাওয়া যে কত কষ্টের তা একমাত্র তিনিই বোঝেন। বিকল্প পা পেয়ে টুম্পারা যেন নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন। এমন আরও কত অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন বিকল্প পা প্রাপ্ত সাত উপকারভোগী প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। শুক্রবার এসএআরপিভি'র উদ্যোগে এ সংস্থাটির কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরীস্থ কার্যালয়ে 'বিকল্প পা বিতরণ' অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে এসব বিকল্প পা বিতরণ করা হয়। এ সময় তাদের মাঝে শীতবস্ত্রও বিতরণ করা হয়েছে। এসএআরপিভি'র আঞ্চলিক পরিচালক কাজী মাকসুদুল আলম (মহিত) এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, ইউএনও জেপি দেওয়ান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ডা. তৈয়ব সিকদার, পিকু পস্নাস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর খোরশেদ আনোয়ার চৌধুরী, মাসুদ গ্রম্নফ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন মাসুদ প্রমুখ। উপকারভোগী প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, সাদিয়া কাশেম টুম্পা, আব্দুল মাবুদ, বাবুল দাশ, নুর জাহান, সৈয়দ আলম, গিয়াস উদ্দিন ও আব্দুর রহমানের জীবনের অনেকগুলো বছর কেটেছে অবহেলা ও অনেক দৈন্য-কষ্টে। কেউ কেউ জন্মের পর থেকে প্রতিবন্ধী, আবার কেউ দুর্ঘটনায় পড়ে প্রতিবন্ধীতার শিকার। এখন এসএআরপিভি থেকে বিকল্প পা পাওয়ার পর তারা অন্যসব স্বাভাবিক মানুষের মতো দুই পায়ে চলাফেরা করতে পারবেন। তাদের সেই দৈন্য-কষ্টের জীবন এখন অনেক আনন্দের ও উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। চকরিয়া ইউএনও জেপি দেওয়ান এ ধরনের প্রতিবন্ধীবান্ধব কাজের জন্য এসএআরপিভি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।