বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে ৬৫ পরিবার পেতে যাচ্ছেন স্বপ্নের ঠিকানা

ঘর পাচ্ছেন চিলমারীর হাছনা বেওয়া
বাগেরহাট সদর প্রতিনিধি
  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০

বাগেরহাট সদর উপজেলার খাঁনপুর ইউনিয়নের চূড়ামণি ও বিষ্ণুপুর কুলিয়াদাড় আশ্রায়ণ প্রকল্পের ৬৫টি ভূমিহীন পরিবার স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য পেতে যাচ্ছেন আপন ঠিকানা। ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ অতিদ্রম্নত শেষ হবে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সদর উপজেলার খাঁনপুর ইউনিয়নের চূড়ামণি সরকারি খাসজমিতে ৫৩টি ভূমিহীন পরিবার ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কুলিয়াদাড় আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকার জন্য ১২টি ঘর নির্মাণ করা হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অঞ্জন কুমার কুন্ডু বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে একক গৃহনির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলার দুটি ইউনিয়নে মোট ৬৫টি ভূমিহীন পরিবারকে ঘর দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য ঘরপ্রতি সরকারের পক্ষ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার এবং পরিবহণ খরচবাবদ অতিরিক্ত ১৯ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ইউএনও মোছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শিগগিরই শেষ হবে।

এদিকে চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, স্বপ্ন ছিল একটি ঘরের। দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘর বরাদ্দের শেষে সে স্বপ্নের ঘরের আশায় হাছনা বেওয়া ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে। কিন্তু বরাদ্দ না থাকায় ঘর মেলেনি তার। তবে তৃতীয় পর্যায়ে ঘর বরাদ্দ হওয়ার আগেই শনিবার বিকালে ইউএনও মাহবুবুর রহমান ছুটে যান সেই হাছনা বেওয়ার বাড়িতে। এরপর ঘর প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।

হাছনা বেওয়া রমনা মডেল ইউনিয়নের বাঁধের ধারে কয়েক বছর থেকে এক মেয়ে ও নাতিকে নিয়ে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করে আসছিলেন। তবে এবার ঘর পাওয়ার আশ্বাসে তার মুখে হাসি ফুটেছে। দেখছেন নিজ ঘরে থাকার স্বপ্ন।

হাছনা বেওয়া বলেন, 'বাঁধের ধারে অনেক কষ্টে আছি। এখন ইউএনও ঘর দেওয়ার কথা বলেছেন। এতে আমি অনেক খুশি। আমাদের মতো মানুষের দেখার মতো এখনো ভালো মানুষ আছেন।'

এ বিষয়ে ইউএনও মাহবুবুর রহমান বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের আওতায় ১২০টি ঘরের বরাদ্দ পেয়েছেন। কয়েকজন বাঁধে আশ্রয় নেওয়া মানুষসহ আরও বেশ কয়েকজনের জন্য খাস জমিতে ঘর প্রদানের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে