মসলার তীব্র ঝঁাঝে অতিষ্ঠ শিক্ষাথীর্রা

প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের পৌরসভা যোগেন্দ্র মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মসলার মিলের তীব্র ঝাঁঝে অতিষ্ট শিক্ষাথীর্রা। ছোট ছোট বিদ্যালয়গামী শিশুদের চোখে জলের রেখা, নাক-মুখ চেপে ধরে কোনোমতে ভেঁা দৌড়ে প্রায় ১০০ গজ এলাকা পার হলেই বঁুঝি ঝঁাঝালো গন্ধ ও কারখানা থেকে উৎপন্ন বাতাসে ভেসে আসা গুঁড়ো থেকে মুক্তির হাসি-ঠিক এ রকমটি দেখা গেল। খানিকটা কৌত‚হল নিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞেস করতেই বেরিয়ে এলো রহস্য। শান্তিবাগ আবাসিক এলাকার জনগণ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষাথীর্ সবাই অপরিকল্পিত কারখানা থেকে ভেসে আসা ঝাঁঝের কারনে অতিষ্ট। পৌরসভার শান্তিবাগ আবাসিক এলাকা-সংলগ্ন সাগরদীঘি পাড়ে অবস্থিত এই পৌরসভা যোগেন্দ্র মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের সামনের দিকে প্রায় ৫০ গজদূরে মহুয়া মসলার মিল ও বিদ্যালয়ের পিছনের ৫০ গজের মধ্যে মা মসলার মিল। দুটি মিলই সকাল থেকে রাত পযর্ন্ত হলুদ, মরিচ, ধনিয়াসহ বিভিন্ন মসলা ভেঙে গুঁড়ো করা হয়। দুটি মসলার মিল থেকে বেরুনো মসলার ঝাঁঝ পৌরসভা যোগেন্দ্র মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশের ঘরবাড়ি দোকানপাটের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্যালয়ের শিক্ষাথীর্ সূযর্্যকান্ত মজুমদার জানান, তাদের দুই পাশের দুইটি মসলার মিল থেকেই মসলার ঝাঁঝ প্রতিদিনই আসে। তারা যখন সকাল বেলা ক্লাস করতে বসি। তখন থেকেই বিভিন্ন ধরনের মসলার ঝাঁঝ আসে। তারা বারবার হঁাচি দেই। এই অবস্থায় তাদের ক্লাসে বসতেও ভালো লাগে না। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মহামায়া ভট্টাচাযর্ জানান, ক্লাস চলাকালে যখন মিলগুলো থেকে মসলার ঝঁাঝ আসতে শুরু করে, তখন আর দরজা-জানালা লাগিয়ে রেখেও সেই গন্ধ আটকানো যায় না। আর প্রাইমারি স্কুলে তো বাচ্চারাই পড়ে। বেশির বাচ্চাই এই মসলার ঝাঁঝ সহ্য করতে পারে না। হঁাচি কাশি দিতে থাকে। মা মসলার মিলের স্বত্বাধীকারী মো. আজিজুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষাথীের্দর অনুরোধে আমরা স্কুলের টাইমে হলুদ, মরিচ ভাঙানোর কাজ করি না। স্কুলের টাইমের পরে এগুলো ভাঙ্গাই। শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমর্কতার্ ডা. জয়নাল আবেদীন টিটো যায়যায়দিনকে বলেন, দীঘির্দন ধরে শিশুদের মসলার মিল থেকে আসা মসলার ঝাঁঝ হঁাপানি, হঁাচি, কাশি ও দীঘর্স্থায়ী শ^াসকষ্ট রোগ হতে পারে। শুধু শিশুরাই নয় বয়স্করাও এ ধরনের রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হবেন।