নাব্যতা হারিয়ে চার নদী এখন ধূ ধূ বালুচর

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ ) সংবাদদাতা
ভারত কতৃর্ক পানির প্রবাহ একতরফাভাবে নিয়ন্ত্রণ করায় উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য নদীর ন্যায় শাহজাদপুর উপজেলার প্রধান ৪টি নদীর পানি শুকিয়ে ধু ধু বালুচরে পরিণত হয়েছে। সেই সাথে জলাবায়ুর বিরূপ প্রভাব, অবৈধ নদী দখল আর ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে দিন দিন মরে যাচ্ছে প্রধান যমুনা, করতোয়া, বড়াল, হুরাসাগর এই ৪টি নদী। প্রতি বছর বন্যা মৌসুমে বালুর আস্তরণ জমতে জমতে নদী হারাচ্ছে তার নিদির্ষ্ট প্রবাহ। আর সেই সাথে নদীতীর ভরাট করে গড়ে উঠছে অবৈধ বসতবাড়ি এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। নদীতে বালু জমে বিশাল বিশাল চর সৃষ্টি হয়েছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছরের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। গত বছরে হুরাসাগর নদীতে গ্রীষ্ম মৌসুমে ক্ষীণ ¯্রােতধারা থাকলেও এ বছর তার আগেই নদীতে কোনো পানি নেই। ফলে এ অঞ্চলের কৃষক, জেলেদের জীবন-জীবিকায় নেমে এসেছে ভয়াবহ বিপযর্য়। এই নদী ৪টির শাখা-প্রশাখাসহ এ অঞ্চলের অসংখ্য খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় ভ‚-উপরিস্থ পানির স্তর বা উৎস হারিয়ে যাচ্ছে। এতে করে সেচ সংকটেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে ব্যাপকভাবে। সিরাজগঞ্জ জেলায় সেচনিভর্র ১ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করতে পানীর স্তর নিচে নামার আশঙ্কা করা হচ্ছে। হুরাসাগর নদীর অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। এই নদীর সবটুকুই এখন ধু ধু বালুচর। নদীর দীঘর্ এলাকাজুড়ে পানির উপস্থিতি নেই। মাঝে মাঝে দু-একটা জায়গায় পানির দেখা মিললেও তা যৎসামান্য। তাই হুরাসাগর নদীর প্রবাহ কমে এখন মৃত্যু নদীতে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়াও বড়াল নদীর অবস্থাও নাজুক। নদীর বিভিন্ন স্থানে জেগে উঠেছে চর। এসব চরে কৃষকরা চাষ করছে নানা ফসল।