শাজাহান খান দশ বছরে কোটিপতি

প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

স্টাফ রিপোটার্র, মাদারীপুর
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ২০০৮ সালের নবম সংসদ নিবার্চনের হলফনামা মোতাবেক ছিলেন দেনাদার। এর দশ বছর পরে একাদশ সংসদ নিবার্চনের হলফনামা মোতাবেক তিনি এখন কোটিপতি। ১০ বছর আগে যখন শাজাহান খান মনোনয়নপত্র জমা দেন তখন তার মাসিক আয় ছিল ৫৭ হাজার ৮৬ টাকা। তার স্ত্রীর শিক্ষকতা থেকে মাসে আসত পাঁচ হাজার দুইশ টাকা। তখন তাদের স্বামী-স্ত্রীর হাতে নগদ কোনো টাকা ছিল না। বরং ঋণ ছিল ৪২ লাখ টাকার ওপরে। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নিবার্চনের হলফনামা মোতাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা ছিল ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬০৪ টাকা এবং স্ত্রীর ২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা ছিল ১২ হাজার ৪৭০ টাকা। এখন এই মন্ত্রীর ব্যাংক ও আথির্ক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ১ কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার ৩১১ টাকা। এছাড়াও নগদ রয়েছে ২৫ লাখ ৪২ হাজার ৪১৩ টাকা। স্ত্রীর নামে ব্যাংক ও আথির্ক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ২০ লাখ ৯১ হাজার ৪৩৬ টাকা এবং নগদ রয়েছে ২৩ লাখ ৪৮ হাজার ৫৬৪ টাকা। নবম সংসদ নিবার্চনের হলফনামা মোতাবেক তার স্থাবর সম্পত্তি ছিল ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫৩ টাকার। একাদশ সংসদ নিবার্চনের হলফনামা মোতাবেক তার সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি ৯৪ লাখ ১২ হাজার ৯৩৩ টাকা। এছাড়াও যৌথ মালিকানায় তার নিজের সম্পদ রয়েছে ২ কোটি ৭৫ লাখ ২১ হাজার ৫৩২ টাকার এবং স্ত্রীর নামে রয়েছে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৮৬ হাজার ৯০৯ টাকা। বতর্মানে ভাড়া থেকে বছরে আসে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৯ টাকা। ১০ বছর আগে আসত ১৫ হাজার ৩৬ টাকা। ব্যবসা থেকে আসত এক লাখ ৭০ হাজার টাকা। বতর্মানে আসে ৩ কোটি তিন লাখ ৬২ হাজার ২৫০ টাকা। বতর্মানে ব্যাংক আমানত থেকে লাভ আসে ২ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাকা। মন্ত্রী এবং সাংসদ হিসেবে পারিতোষিক ও ভাতা আসে ২৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫৮০ টাকা। আগে অন্যান্য খাত থেকে আসত ৫ লাখ টাকা। ১০ বছরের ব্যবধানে শাজাহান খানের বাষির্ক আয় ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৬০ হাজার ৪৫৯ টাকা।