বাঁধ মেরামত না হওয়ায় হতাশায় কৃষক

বুড়ি তিস্তা নদী

প্রকাশ | ১৭ মে ২০২২, ০০:০০

ম স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী
নীলফামারীর ডিমলায় বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজ সুন্দর খাতা গ্রামের খাল পাড়া হতে খোকসার ঘাটের উজানে দক্ষিণ সুন্দর খাতা পর্যন্ত বুড়ি তিস্তার বাঁধটি দেশ স্বাধীনের আগে নির্মিত। ১৯৮৮ সালের বন্যার পানিতে ৮০-১০০ ফিট বাঁধটি ভেঙে যায়। এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে এক সময় মেরামত করলেও উজানের পানির ঢলে আবার ভেঙে যায়। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও বুড়িতিস্তা নদীর পূর্বপাশ ঘেষা কচুবাড়ীর দলার বাঁধটি মেরামত করা হয়নি। বাঁধটি মেরামত না হওয়ায় ডিমলা উপজেলার নিজ সুন্দর খাতা, মধ্যম সুন্দর খাতা, দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামের কয়েক হাজার বিঘা জমিতে কৃষকরা বর্ষা মৌসুমে আমন ধান রোপণ করতে পারেন না। ফলে প্রতিনিয়ত কৃষকরা সপরিবারে অভাব-অনটনের মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। চলতি বোরো মৌসুমে বাঁধের ভাটিতে কৃষকরা বোরো ধান চাষাবাদ করলেও এখন পাকা ধান কাটতে ঝোঁকের মুখে পড়েছেন। ইতোমধ্যে কালবৈশাখী কারণে স্থানীয়দের ঘরবাড়ি, গাছপালা, ভুট্টাক্ষেতসহ অন্য ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বোরো ধান পাকার আগ মুহূর্তে যদি বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে উজানের পানি প্রবাহিত হয় তাহলে কৃষকদের বাঁচার উপায় থাকবে না। সরেজমিন দেখা গেছে, ডিমলা সদর উপজেলা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে বুড়িতিস্তা নদীর পূর্বপাশ ঘেঁষে বালাপাড়া ইউনিয়নের সুন্দর খাতা মাইঝালীর ডাঙ্গা গ্রামের কচুবাড়ীর দলার খালপাড়া সংলগ্ন বাঁধটি। নদীর নাব্য না থাকায় শুকনো মৌসুমে কৃষিজমি হিসেবে ব্যবহার করে কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষাবাদ করে আসছেন। এর ফলে নদীর নাব্য যেমন হারিয়ে গেছে, তেমনি বর্ষায় উজানের পানির ঢলে বাঁধটি ভেঙে পাশের কৃষি জমিগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বন্যার পানিতে বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কৃষকরা আমন ধান রোপণ করতে পারেন না। ইরিধান মৌসুমে জমিগুলোয় বোরো ধান চাষাবাদ করলেও কাটা মৌসুমে বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় চাষাবাদকৃত পাকা বোরো ধান তলিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া মধ্যম সুন্দর খাতা মাঝিয়ালীর ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির মাঠ বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জমিগুলোয় কৃষকরা বোরো ধান চাষাবাদ করে দৈনন্দিন মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন। কৃষকদের দিকে তাকিয়ে ও দেশের খাদ্য চাহিদার বৃহৎ স্বার্থের কথা বিবেচনা করে বুড়িতিস্তার বাঁধটি মেরামত করলে এলাকার কৃষক উপকৃত হবেন। জানতে চাইলে বালাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, বাঁধটি অনেক আগেই ভেঙে যায়। বন্যার কবল থেকে বাঁধটি রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা প্রয়োজন। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে বাঁধটি মেরামতের ব্যবস্থা করবেন।