বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দাগনভূঁঞার ছোট ফেনী নদী অবৈধ দখল

ম দাগনভূঁঞা (ফেনী) প্রতিনিধি
  ১৮ মে ২০২২, ০০:০০

ফেনী জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলার জয়লষ্কর ইউনিয়ন ইয়ারপুর (নুরুল্যাপুর) গ্রাম দিয়ে ছোট ফেনী নদীর একটা অংশ প্রবাহিত হয়েছে। এ অংশে নদীর বিভিন্ন অংশ দখল, ঘেরাও করে মাছ নিধন, রাতে মদ-জুয়ার আসরসহ অসামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা হয়।

জানা যায়, এ নদীর প্রবহমান পানি আশপাশের এলাকার কৃষিজমির সেচের কাজে ব্যবহার হতো। বিশেষ করে নুরুল্যাপুর গ্রামের মানুষ ফেনী ছোট নদীর পানি সেচ দিয়ে জমি চাষাবাদ করত। এখন এক শ্রেণি নদী আগ্রাসী লোকেরা নুরুল্যাপুরের ছোট ফেনী নদীর অনেকটা তাদের দখলে নিয়েছে। তারা নদীতে বাঁধ দিয়ে ছোট ছোট পুকুর আকৃতি করে সেখানে মাছ চাষ করছে। আবার কোনো অংশে জাল দিয়ে ঘেরা তৈরি করে নদীর মাছ শিকার করা হচ্ছে। দেখলে একে নদী মনে হবে না। নদীটি ছোট ছোট পুকুরে পরিণত হয়েছে। অবৈধ দখলদারদের দখলে চলে যাওয়ায় ঐতিহ্যবাহী নদীটি এখন অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। চাষাবাদের পানি না পাওয়ায় নুরুল্যাপুর গ্রামের অনেক জমি অনাবাদিতে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রাতের বিনোদনের জন্য নদীকে পুকুরে রূপান্তর করে প্রতিটা পুকুরে রয়েছে ভাসমান বিনোদন তরীঘর। যা এক ধরনের ভাসমান ঘর। আবার কোন কোন পাড়ে রয়েছে বিনোদনের জন্য রেস্টহাউস। এসব তরীঘরে ও রেস্ট হাউসে বিক্রি হয় মাদক। সন্ধ্যার আগেই শতাধিক প্রাইভেটকার, বাইক জড়ো হয়। রাতে মাদকের গন্ধে সাধারণ পথচারীদের চলাচল কষ্টকর, নারী হলে একা বের হওয়াই দুষ্কর। মাদকের সঙ্গে বিনোদন কেন্দ্রগুলোয় চলে পতিতার মেলা।

বিগত ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর দাগনভূঁঞা উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি (এসি ল্যান্ড) গাজালা পারভীন রুহি জায়লষ্কর ইউনিয়নের নুরুল্যাহপুর গ্রামের ছোট ফেনী নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ করে বাঁধ দেওয়ার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এ সময় জালের ঘেরাগুলো অপসারণ করা হয় এবং চারটি বাঁধ কেটে নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক করা হয়। অভিযানের পরে ঠিক আবার আগের মতো দখল করেছে নদী আগ্রাসীরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে