তিতাসে ৪০ দিনের কর্মসূচি বন্ধ, থমকে আছে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন

প্রকাশ | ১৮ মে ২০২২, ০০:০০

ম তিতাস (কুমিলস্না) প্রতিনিধি
কুমিলস্নার তিতাসে বর্তমানে অতিদরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান অর্থাৎ ৪০ দিনের কর্মসূচি বন্ধ থাকায় থমকে আছে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন। বিগত বছরগুলোতে ওই কর্মসূচি চালু থাকলেও বর্তমান অর্থ বছর থেকে বন্ধ থাকার ফলে কাঁচা রাস্তা তৈরি ও সংস্কার কাজ আটকে গেছে। উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, বিগত বছরগুলোতে সারাদেশের মতো কুমিলস্নার তিতাসের ৯টি ইউনিয়নের ৪০ দিনের কর্মসূচি চালু ছিল। করোনাকালীন সময়ে কর্মসূচি কিছুটা সিথিল হলে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে এ কার্যক্রমের আওতায় কোনো বরাদ্দ আসেনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রথম পর্যায়ে ঢালাওভাবে সারাদেশে এ কর্মসূচি শুরু হয়। কিন্তু বর্তমান অর্থ বছর থেকে যেসব উপজেলায় মোট জনসংখ্যার ২০% ওপরে দারিদ্র্যতার হার রয়েছে সেসব উপজেলায় কর্মসূচি চালু আছে। আর যেসব উপজেলায় দারিদ্র্যতার হার ২০% নিচে সেসব উপজেলায় কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে। উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের বাংলাদেশের দারিদ্র্য মানচিত্রের তথ্য অনুযায়ী তিতাসের দারিদ্র্যতার হার শতকরা ১৬.৮। জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে বুড়িচং, চৌদ্দগ্রাম, সদর দক্ষিণ, কুমিলস্না সদর, লালমাই ও তিতাস ছাড়া বাকি ১১টি উপজেলার দারিদ্র্যতার হার শতকরা ২০-এর ওপরে থাকায় উক্ত কর্মসূচি চলমান আছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান উলস্নাহ জানান, সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী তিতাসের শতকরা ১৬.৮ দারিদ্র্যতার হার দেখানো হয়েছে। সে কারণে ওই কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকার বলেন, তিতাসের দারিদ্র্যতার হার শতকরা ১৬.৮। যা মেনে নেওয়া যায় না। তথ্যগত ভুলের কারণে তারা উন্নয়ন কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।