এলাকাবাসীর মাঝে আনন্দ

ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রীর পৈতৃক ভিটা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

প্রকাশ | ১৮ মে ২০২২, ০০:০০

ম স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার পৈতৃক ভিটা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কাজীপাড়ায়। এজন্য কাজীপাড়াবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস। পৌর শহরের কাজীপাড়ার পুকুরপাড়ে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর পিতা মাখন লাল সাহার পৈতৃক ভিটা। তবে পৈতৃক এই বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার ও তার আত্মীয়-স্বজন থাকেন না। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় মাখন লাল সাহা ত্রিপুরার আগরতলায় বসবাসরত তার বন্ধু নূর মিয়া মালদারের সঙ্গে তার ২৪ শতাংশের বাড়িটি বিনিময় করে সপরিবারে আগরতলায় চলে যান। একথা জানিয়েছেন বাড়িটির বর্তমান মালিক নূর মিয়া মালদারের ছেলে শরীফুল ইসলাম মালদার। তিনি বলেন, মাখন লাল সাহার ছেলে ডা. মানিক সাহা ত্রিপুরা রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় আমরা খুশি। কাজীপাড়াবাসী খুশি। বর্তমানে বাড়িটিতে মাখন লাল সাহা যে ঘরটিতে বসবাস করতেন সেই ঘরটি এখনো রয়েছে। তবে ঘরটিকে এখন দোকান কোঠায় রূপান্তর করা হয়েছে। কাজীপাড়ার প্রবীণ বাসিন্দা ব্যবসায়ী রমন সাহা বলেন, মাখন লাল সাহার বাড়িতে দুর্গাপূজা হতো। তিনি কাজীপাড়ার বাড়ি বিনিময় করে আগরতলায় চলে যাওয়ার পরেও পূজার সময় আসতেন। পরবর্তী সময়ে তার ছেলেরাও আসতেন। বর্তমানে এই বাড়িতে মাখন লাল সাহার কোনো আত্মীয়স্বজন না থাকলেও মাঝেমধ্যে তাদের নিকট স্বজনেরা বাড়িটি দেখতে আসেন। বাড়ির বর্তমান মালিক মরহুম নূর মিয়া মালদারের ছেলে শরিফুল ইসলাম বলেন, 'তাদের পৈতৃক ভিটা আগরতলা শহরের পুরনো জেলখানা এলাকায়। ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগের সময় তার পিতা নূর মিয়া মালদার তার বন্ধু মাখন লাল সাহার সঙ্গে তাদের আগরতলার বাড়িটি বিনিময় করে কাজীপাড়ার এই বাড়িতে চলে আসেন। ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার জন্ম আগরতলা শহরে বিনিময় করে আসা তাদের পুরনো ওই বাড়িতে। তারা আমাদের আত্মার আত্মীয়।' তিনি জানান, তাদের বাড়ির বিদু্যৎ মিটার এখানো বাড়ির পুরনো মালিক মাখন লাল সাহার নামে রয়েছে। তার পিতা নূর মিয়া মালদার মৃতু্যর আগে তাকে বলে যান বন্ধুর (মাখন লাল সাহা) স্মৃতিটি ধরে রাখার জন্য বাড়ির বিদু্যৎ মিটারের নাম যেন পরিবর্তন না করা হয়। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শরীফুল ইসলাম মালদার আরও বলেন, তার বাবা নূর মিয়া মালদার ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে (বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ) পড়তেন। থাকতেন কাজীপাড়া কিবরিয়া মহলে। তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছিল ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ। কাজীপাড়ায় থাকার সময়ে মাখন লাল সাহার সঙ্গে তার বাবার বন্ধুত্ব হয়। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় পরিস্থিতি পরিবর্তিত হতে থাকে। তখন দুই বন্ধু একে অপরের বাড়ি বিনিময় করেন। সেই থেকে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাজীপাড়ার বাসিন্দা তারা। আর মাখন লাল সাহা আগরতলার বাসিন্দা।